সংক্ষিপ্ত
অবাঞ্ছিত কণা নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করায় এমনটা হয়। এই ধরনের কণা নাকের ভিতরে পৌঁছালে আমাদের শরীর প্রতিক্রিয়া করে এবং হাঁচি দেয়।
শীতকালে ঠান্ডা অনেকেরই সহ্য হয় না। তাই হাঁচি, কাশি, নাক থেকে জল পড়া বা ঠান্ডা লেগে জ্বরের মত সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। অনেকের আবার ধুলো থেকে অ্যালার্জির প্রকোপ বাড়ে এই শীতকালে। তাই বেশ সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে হাঁচির সমস্যা হয়। এটি ধুলো, আর্দ্রতা এবং অ্যালার্জির কারণে হতে পারে। অতিরিক্ত হাঁচির এই সমস্যাকে বলা হয় অ্যালার্জিক রাইনাইটিস।
অনেক অবাঞ্ছিত কণা নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করায় এমনটা হয়। এই ধরনের কণা নাকের ভিতরে পৌঁছালে আমাদের শরীর প্রতিক্রিয়া করে এবং হাঁচি দেয়। ঠান্ডা এবং পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণেও হাঁচির সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার সাথে এটি ঘন ঘন হয় তবে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার খুব সহায়ক হতে পারে। এই দেশীয় পদ্ধতিগুলো দিয়ে আমরা হাঁচির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।
হাঁচি উপশমে মধু ও আমলাও উপকারী। মধুর সাথে আমলা বা আমলকি গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সকালে ও সন্ধ্যায় এক চামচ করে খেলে আরাম হবে। কমবে সাতসকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁচির সমস্যা কমবে।
পুদিনা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ঠাণ্ডা ও ফ্লু সারাতেও এটি উপকারী। পুদিনা পাতা থেকে চা বানিয়ে পান করলে হাঁচির সমস্যা সেরে যায়।
স্টিম খেলে ঠান্ডা ও হাঁচির মতো সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যায়। হাঁচির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জল ফুটিয়ে তাতে কর্পূর মিশিয়ে পান করুন। এই গরম জলের ভাপ নিলে তাৎক্ষণিকভাবে উপকার পাওয়া যায়।
হাঁচির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে গরম জল পান করা উপকারী হতে পারে। ঠান্ডা জল এই সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই হালকা গরম জল পান করুন। ঠান্ডা জলে ফের হাঁচির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
তুলসীর ক্বাথ পান করলে হাঁচি ও ঠান্ডায় উপশম হয়। ক্বাথ তৈরি করতে জলে তুলসীর সঙ্গে আদা ও গোল মরিচ মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। অর্ধেক হয়ে গেলে কুসুম গরম জলেতে মিশিয়ে পান করুন।
হলুদ এবং শিলা লবণ বা রক সল্টে উপস্থিত অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য হাঁচি থেকে মুক্তি দেয়। এই দুটি মশলা গরম জলেতে মিশিয়ে পান করলে হাঁচি ও সর্দির সমস্যা সেরে যায়।