সংক্ষিপ্ত

করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ FLiRT আমেরিকাতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই রূপের ক্রমবর্ধমান কেস মানুষ এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এই ভাইরাসটি বিশ্বের অন্যান্য অংশেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

যদিও এখন করোনা সংক্রমণ খুব একটা বাড়ছে না। কিন্তু, পুরোপুরি শেষ হয়নি। প্রতি কয়েক মাস পর পর করোনার নতুন নতুন রূপ বের হতে থাকে এবং এখন করোনা ভাইরাসের আরেকটি নতুন রূপ FLiRT সামনে এসেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ FLiRT আমেরিকাতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই রূপের ক্রমবর্ধমান কেস মানুষ এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এই ভাইরাসটি বিশ্বের অন্যান্য অংশেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নতুন রূপটি FLiRT Omicron প্রজাতির থেকে উদ্ভুত। Omicron হল করোনা ভাইরাসের একই স্ট্রেন, যা সারা বিশ্বে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। ভারতে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্যও দায়ী ছিল ওমিক্রন।

যারা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেন তাঁরাও ঝুঁকিতে রয়েছেন

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নতুন রূপ ধীরে ধীরে বিশ্বের অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

এই মানুষদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা ছাড়াও এটি বিশ্বের অন্যান্য অংশে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরও প্রভাবিত করতে পারে। এই ভেরিয়েন্টটি অন্য ভেরিয়েন্টের থেকে কিছুটা আলাদা এবং অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে তাদের এ ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া দরকার।

এর উপসর্গ কি?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্লার্টের উপসর্গগুলি অন্যান্য কোভিড -১৯ রূপগুলির থেকে খুব বেশি আলাদা নয়। এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হলে ফ্লুর মতো উপসর্গ, শরীরে ব্যথা, গলা ব্যথা, গন্ধ ও স্বাদ কমে যাওয়া এবং নাক দিয়ে জল পড়তে পারে। এ ছাড়া জ্বর, ডায়রিয়া, বমি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও হজমের সমস্যাও হতে পারে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।