সংক্ষিপ্ত

মানসিক ব্যাধিগুলি একজন ব্যক্তির আবেগকেও প্রভাবিত করে। রোগী হয় একটি জিনিসের প্রতি একেবারেই প্রতিক্রিয়া দেখায় না বা একটি জিনিসের প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে।

ব্যস্ত জীবনের নিত্য ছোটাছুটিতে মনের খবর কজন রাখে। তবে মানসিক অবসাদ একটা মানুষকে মৃত্যুর কিনারে নিয়ে চলে যেতে পারে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া জরুর। প্রতিদিন নিজেকে প্রশ্ন করুন, সত্যিই ভালো রয়েছেন তো। মানুষ প্রায়ই তাদের ব্যস্ত জীবনে দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের শিকার হয়। এবং মানুষ এটি সম্পর্কে বুঝতেও পারেন না। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি নীচের উল্লেখিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন তবে আপনার চিকিত্সা প্রয়োজন।

মানসিক ব্যাধিগুলি একজন ব্যক্তির আবেগকেও প্রভাবিত করে। রোগী হয় একটি জিনিসের প্রতি একেবারেই প্রতিক্রিয়া দেখায় না বা একটি জিনিসের প্রতি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে।

যাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো নয় তারা সব কিছুর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ধীরে ধীরে এই ধরনের লোকেরা নিজেদের অকেজো বা সবার মধ্যেও বাতিল ভাবতে শুরু করে।

ছোটখাটো বিষয়ে রেগে যেতে পারেন তাঁরা। যদি আপনার মেজাজ খারাপ হয় বা আপনি প্রতিটি ইস্যুতে কাঁদতে শুরু করেন তবে এটিও একটি খারাপ মানসিক অবস্থার লক্ষণ।

মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে ঘুমের ধরন বদলে যায়। কেউ খুব ঘুম পায় আবার কেউ ঘুম পায়। ওজনের পরিবর্তনও দেখা যায়। কিছু লোক খুব বেশি খায় এবং কিছু লোক ক্ষুধার্ত বোধ করে না, এই ক্ষেত্রে আপনার ওজন হ্রাস বা বাড়তে পারে।

আপনি যদি প্রায় ৪-৫ জন থাকা সত্ত্বেও মানসিক ভাবে একা বসে থাকেন এবং কারও সাথে কথা না বলেন, এই লক্ষণটিও খারাপ মানসিক অবস্থার লক্ষণ।

আপনি যদি নিজেকে কোন সমস্যার কারণ মনে করেন। যেকোনো ব্যর্থতার জন্য নিজেকে দায়ী করে। সবকিছু ঠিক না হলে নিজেকে অভিশাপ দেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির লক্ষণ।

মানসিক অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে

রোজ অন্তত ১০ মিনিট সাইকেল চালান। বাড়িতে এমন এক্সারসাইজ ইন্সট্রুমেন্ট কিনতে পারেন। রোজ ৩০ মিনিট সাইকেল চালানো শরীরের জন্য ভালো। ৩০ মিনিট না পারলে অন্তত ১০ মিনিট সাইকেল চালান। এতে সমস্ত শরীর রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে। সকল শারীরিক সমস্যা দূর হবে। পেশি শক্ত হবে সঙ্গে হার্ট ভালো থাকবে। সঙ্গে মন থাকবে চাঙ্গা। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।

রোজ ৪০০০ এর বেশি পদক্ষেপ হাঁটুন। হাঁটার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে অন্তত ২ বার হাঁটলে শরীর থাকবে ভালো। এতে শরীরে সকল অঙ্গে রক্তচলাচল ঠিক থাকে। তেমনই পেশি হয় শক্ত।