Health News: ওষুধের দোকানগুলিতেও বেড়েছে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি। অল্প জ্বর-সর্দিতেই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজের মতো অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন রোগীরা।
Health News: হঠাৎ হালকা শীতের আমেজ, অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি আসে। ঘরে ঘরে হয়েছে সর্দি-কাশি, জ্বর। কারও আবার সঙ্গে বমি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বেহিসেবি অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন অনেকেই। এই প্রবণতা ডেকে আনছে বিপদ। এটা পরিবর্তনের কথা বলছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নোটিশ দিয়েছে IMA। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, চিকিৎসকরাও যেন অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব না করেন। রোগীরাও যেন ইচ্ছেমতো তা না খান।
কী বলছে আইএমএ-র নির্দেশ?
সর্দি-কাশি, বমি, গলা ব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গ এক সপ্তাহের বেশি থাকছে না। তিন দিনেই জ্বর কমে যাচ্ছে। সপ্তাহ তিনেক থাকছে কাশি। তবে, এই ধরনের সংক্রমণকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এক্ষেত্রে সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ দিলেই হবে। কিন্তু অনেকেই অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও অ্যামক্সিক্ল্যাভের মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। এত বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে জীবাণুরা তার বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে Immunity গড়ে তুলবে। ফলে যখন সত্যিই সংক্রমণ কঠিন হবে, তখন হয়ত অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। সেই কারণেই প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ার নিদান ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের।
অ্যান্টিবায়োটিকের বিষয়ে আমরা প্রায় সকলেই ওয়াকিবহাল। এটা আসলে সবথেকে সাধারণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে এবং তা ধ্বংস করতেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সকলেই এই ধরনের ওষুধ যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করছে। আসলে অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই এটা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. বিন্দুমতী পি এল।
কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে, যা অন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এমনকী হজমে সহায়তার পাশাপাশি ইমিউনিটিও বজায় রাখতে সহায়ক। এই ব্যাকটেরিয়াগুলিই ‘গাট ফ্লোরা’ নামে পরিচিত। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে সেই ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে।
সাধারণ জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সর্দি সারানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। তবে এর জেরে কিছু কিছু সময়ে অবাঞ্ছিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, শিশুদের সর্দি-কাশির জন্য যেসব অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলি সি. ডিফ নামে পরিচিত ব্যাকটেরিয়াল অ্যান্টিবায়োটিক- রেজিস্ট্যান্ট স্ট্রেনের প্রতি বেশি সংবেদনশীল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


