সংক্ষিপ্ত

জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণা রিপোর্ট সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যাদের মাড়ির রোগ রয়েছে, অ্যালঝাইমার রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ উপকারী।

 

মুখের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। কারণ শুধুমাত্র তাজা নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের জন্যই নয়। মুখের যত্ন অনেক সময়ই টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মত রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ দিয়ে গার্গল করা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভাল। কারণ এটি খারাপ ব্যাকটেরিয়া বিনাশ করতে পারে।

জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের গবেষণা রিপোর্ট সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যাদের মাড়ির রোগ রয়েছে, অ্যালঝাইমার রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ উপকারী। তবে এই গার্গল সবথেকে বেশি উপকার পাবেন টাইপ ২ ডায়াবেটিক রোগীরা। গবেষক দলের প্রধান সায়া মাতায়োশি বলেছেন, ক্লোরহেক্সিডিন গ্লুকোনেটযুক্ত অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ দিয়ে গার্গল করা খুবই উপকারী স্বাস্থ্যের জন্য। তাঁরা আরও বলেছেন, তিনটি ভাইরাল ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি রয়েছে, যেগুলি দাঁতের চারপাশের টিস্যুগুলি একাধিক রোগের কারণ। সেগুলি অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ধ্বংস করে দিতে পারে।

সায়া যোগ করেছেন, "আমরা এই তিনটি প্রজাতি - পোরফাইরোমোনাস জিঙ্গিভালিস, ট্রেপোনেমা ডেন্টিকোলা এবং ট্যানেরেলা ফরসিথিয়া - টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক ক্লোরহেক্সিডিন গ্লুকোনেটযুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করে কমাতে পারি কিনা তা দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"

মাত্র ৬ মাসের জন্য তারা একটি একটি সমীক্ষা করেছিলেন। সেই পর্যবেক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা প্রথমে প্রাথমিক সময়ের জন্য জল দিয়ে গার্গল করেছিলেন এবং তারপরে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ দিয়ে গার্গল করেছিলেন। অনুসন্ধানগুলি তাদের মধ্যে লক্ষ্যবস্তু ব্যাকটেরিয়া প্রজাতির একটি উল্লেখযোগ্য হ্রাস প্রকাশ করেছে যারা নিয়মিতভাবে দিনে দুবার অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ দিয়ে গার্গল করেন।

জল দিয়ে গার্গল করা ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বা HbA1c মাত্রার উপর কোন উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখায় না, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের একটি চিহ্নিতকারী। ভার্সিটি থেকে কাজুহিকো নাকানো ব্যাখ্যা করেছেন, "আমরা এটা দেখে অবাক হয়েছিলাম যে জল দিয়ে গার্গল করার ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি বা HbA1c মাত্রার উপর কোন প্রভাব নেই।" রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশের কারণেই ব্যাকটেরিয়া দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অল্প বয়সী রোগীরা এই গার্গলে সবথেকে বেশি উপকার পায়। বয়স্কদের তুলনায় রক্তে শর্করা বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ডিমেনশিয়া, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সহ বিভিন্ন গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।