সংক্ষিপ্ত

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রত্যেকটি খানিকটা দৌড়লে অতি সহজেই গোটা শরীরের ব্যায়াম সম্পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু, জানেন কি, শরীরচর্চার পাশাপাশি মনের পক্ষেও দারুণ উপকারী রোজকার দৌড়নোর অভ্যাস?

প্রত্যেকদিন সকালে বা বিকালে শরীরচর্চা করার জন্য দৌড়তে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। বাড়িতে যোগাসন অথবা জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা একঘেয়ে হয়ে গেলে খানিকটা দৌড়ে নিলে শরীর খুবই ঝরঝরে থাকে। কিন্তু, জানেন কি, শরীরচর্চার পাশাপাশি মনের পক্ষেও দারুণ উপকারী রোজকার দৌড়নোর অভ্যাস? 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রত্যেকটি খানিকটা দৌড়লে অতি সহজেই গোটা শরীরের ব্যায়াম সম্পূর্ণ হয়ে যায়। আলাদা করে পেট, কোমর কিংবা পায়ের জন্য ব্যায়াম করতে হয় না। সম্প্রতি ইউরোপীয়ান কলেজ অফ নিউরোসাইকোফার্মাকোলজি-র একটি গবেষণা বলছে, দৌড়ের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যেরও যোগ রয়েছে। নিয়মিত দৌড়লে মানসিক অবসাদও কম থাকে। ‘জার্নাল অফ অ্যাফেক্টিভ ডিজ়অর্ডার’-এ প্রকাশিত হয়েছে এই রিপোর্ট।

মানসিক অবসাদে ভুগছেন এমন ১৪০ জনকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিলেন ইউরোপীয়ান কলেজ অফ নিউরোসাইকোফার্মাকোলজি-র গবেষকরা। তাঁদের দু’টি দলে ভাগ করা হয়েছিল। একটি দল মন সুস্থ করে তোলার জন্য শুধুমাত্র দৌড়কেই বেছে নিয়েছিল। আর অন্য দলের মানুষরা বেছে নিয়েছিলেন ওষুধ। ১৬ সপ্তাহ ধরে গবেষণা চলার পর দেখা গেছে, চিকিৎসার মাধ্যম হিসাবে যে দলটি শুধুমাত্র দৌড়কেই বেছে নিয়েছিল, সেই দলের সদস্যদের মধ্যে মানসিক অবসাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অন্য দলটির তুলনায় অনেক বেশি। তবে, শুধুমাত্র গবেষক কিংবা চিকিৎসকেরাই নন, মানসিক অবসাদ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত দৌড়নোর পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-ও।