সংক্ষিপ্ত

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটু কান্না শরীরের জন্য ভালো। তাই কান্না থামানোর দরকার নেই, বরং সেই ব্যক্তিকে কাঁদতে দেওয়াই ভালো।

মানুষের জীবনে কখনো ভালো কখনো খারাপ সময় আসে। এই দুই সময়েই যে কোনও মানুষকে কাঁদতে দেখা যায়। কখনো কখনো মানুষ আনন্দে কাঁদে। কখনো কখনো কান্না মানুষের দুঃসময়ের নিত্য সঙ্গী হয়ে ওঠে। সে সময় অবশ্য কান্নাকাটি করলে কাউকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়। তবে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার পরিবর্তে তাকে কাঁদতে দেওয়াই ভাল, বিশেষজ্ঞরা বলছেন। একটু আশ্চর্য মনে হলেও এটাই সত্যি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটু কান্না শরীরের জন্য ভালো। তাই কান্না থামানোর দরকার নেই, বরং সেই ব্যক্তিকে কাঁদতে দেওয়াই ভালো।

কান্না ভালো কেন?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত একবার কান্না শরীরের জন্য ভালো। জাপানের একটি কোম্পানির সমীক্ষা থেকে এই ফলাফল জানা গেছে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, কান্না মানুষের মানসিক চাপ কমায়। এটি মানুষের শরীর ও মনকে শক্তিশালী করে।

এর পিছনে বিজ্ঞান কি?

এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, কাঁদলে চোখের শুষ্কতার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি জীবাণু থেকেও রক্ষা করে। চোখের জলে লাইসোজাইম নামক একটি পদার্থ থাকে যা বেশিরভাগ জীবাণুকে মেরে ফেলে। ফলে ধুলো ও ধোঁয়া থেকে চোখে জমে থাকা ময়লা, চোখের জল তা পরিষ্কার করে। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, কান্নার পর মানুষ মানসিকভাবে হালকা হয়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে সপ্তাহে অন্তত একবার কাঁদুন।

কান্নার আরও উপকারিতা

ঘুম ভালো হয়

২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে কাঁদার সময় আমাদের শরীরে কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেশ বেড়ে যায়, যার ফলে দ্রুত এবং বিশ্রামের ঘুম হয়।

মন ভালো রাখে

মনের মধ্যে চাপা বেদনা যদি কান্নার মাধ্যমে বেরিয়ে আসে, তবে মন হালকা হয়। তাই মনস্তাত্ত্বিকরা বলছেন, মন খারাপ থাকলে কান্না থামাবেন না। বরং, গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা চোখের জল ফেলতে পারে তারা সহজেই হতাশার সাথে আরও ভালভাবে মোকাবেলা করে।

ইমোশনাল থেরাপি

কান্না আসলে একধরনের থেরাপি। এটি উদ্বেগ কমায়, হতাশা থেকে মুক্তি দেয়। আবেগগতভাবে কাঁদতে পারা মন এবং শরীরের জন্য অনেক কারণে উপকারী। দীর্ঘ সময় ধরে আবেগ দমন করা ক্ষতিকারক। এতে মনে বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি হয়। এটি মস্তিষ্কের উপরও বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাঁদা অত্যন্ত প্রয়োজন।