সংক্ষিপ্ত

পানমশলা বা হজমিগুলি অনেকেই খাবারের পরে খান। হজমে সাহায্য করে এগুলি তেমনই ধারনা। অনেকেই আবার মনে করে প্রচুর খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে এগুলি উপকারী।

 

খাবার পরে অনেকেই অভ্যাস রয়েছে মুখসুদ্ধি খাওয়ার। যার মধ্যে রয়েছে পানমশলা বা হজমিগুলি। বাজারে নানা ধরনের পান মশলা বা হজমিগুলি পাওয়া যায়। সেগুলি অনেকেই মুড়িমুড়কির মত খান। মুখে রাখতে সত্যিই এগুলি খুব ভাল লাগে। অনেকেই মনে করে এগুলি হজমের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু সত্যি কি তাই!

বিশেষজ্ঞদের কথায় পানমশলা বা হজমিগুলি অনেকেই খাবারের পরে খান। হজমে সাহায্য করে এগুলি তেমনই ধারনা। অনেকেই আবার মনে করে প্রচুর খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে এগুলি উপকারী। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কথায় খাবারের গন্ডোগলের জন্যই হজমের সমস্যা হয়। এগুলি না খাওয়াই শ্রেয়। অনেক সময় পানীয়ের সমস্যার জন্যও হজমের গন্ডগোল হয়। বিশেষজ্ঞদের কথায় হজমের সমস্যা সারায় বলে যে ধারনা রয়েছে তার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

বিশেষজ্ঞদের কথায় খাবার পরে হজমের সমস্যা সমস্যাধানের জন্য হজমিগুলি বা পান মশলার থেকে বেশি কার্যকরী জল। প্রচুর পরিমাণে জল খেলে অনেক সময় সমস্যার সমআধান হয়। চাইলে জলের সঙ্গে লেবু বা বিট ননু মিশিয়ে খেতে হবে। অনেক সময় জিরে ভিজিয়ে বা জিরে গুঁড়ো করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে সরবত তৈরি করে পান করতে পারেন। তাতে হজমের সমস্যা মিটে যায়। পুদিনা পাতা ভেজান জল খাওয়াও জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের কথায় হজমগুলি বা পান মশলা সাময়িকভাবে মুখের স্বাদ পরিবর্তন হয়। মাউথফ্রেশনার হিসেবেও এগুলি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু হজমে এগুলি খুব একটা কার্যকর নয়। অনেক বিশেষজ্ঞদের কথায় জল পানের ওপরই নির্ভর করে হজম প্রক্রিয়া।

খাবার খাওয়ার অন্তত ১০ মিনিট আগে জল পান করতে হবে। খাবার খাওয়ার সময় জল পান না করাই শ্রেয়। খাবার খাওয়ার ১৫-২০ মিনিট পরে জল পান করুন। তেলমশলা জাতীয় খাবারের পর পাতিলেবু , বিটনুন জলে মিশিয়ে পান করুন।

খাবার খাওয়ার পর এক ঘণ্টার মধ্যে শোবেন না। একদম ভরপেট খাবার খাবেন না। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেই রোজ নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে। তবে নিয়মিত গরম জল খেতে হবে। তবে রিচ খাওয়ার পরে টক দই বা ঘোল খেতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে জল আর সরবত হজমের সমস্যার সমাধান করতে পারে।