সংক্ষিপ্ত

ষাট বছর বয়সে নিজেকে সুস্থ রাখা অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এই সময়ে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং কর্মক্ষম থাকার জন্য জীবনযাত্রায় কী কী পরিবর্তন আনা উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক...

 প্রতিটি বয়সের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিছু রোগ দেখা দেয় এবং শরীরের হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। এই সময়ে ষাট বছর বয়সে সুস্থ এবং কর্মক্ষম থাকা বেশ চ্যালেঞ্জিং। তাই ষাট বছর বয়সে সুস্থ থাকার জন্য দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কী কী পরিবর্তন আনা উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক...

মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন
বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রথমে নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ না রাখলে শারীরিক স্বাস্থ্যও খারাপ হতে পারে। তাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য প্রতিদিন হাঁটা, যোগব্যায়াম অথবা ধ্যান করা উচিত। এছাড়াও পছন্দের কোনও শখ পূরণ করতে পারেন।

শারীরিক কসরত গুরুত্বপূর্ণ
বয়স বাড়ার সাথে সাথে পেশী দুর্বল হতে শুরু করে। এর ফলে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। इससे দূরে থাকার জন্য নিয়মিত সাঁতার, সাইকেল চালানোর মতো শারীরিক কসরত করতে পারেন। এছাড়াও শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এক পায়ে দাঁড়ানোর অভ্যাস করতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাসে নজর দিন
ষাট বছর বয়সের পর সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য খাবারে চিনি এবং লবণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। এছাড়াও মৌসুমি ফল, শুকনো ফল, সবুজি খাওয়া উচিত। খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার রাখা উচিত। শরীর হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান
ষাট বছর বয়সে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোকে অবহেলা করা উচিত নয়। প্রতি ছয় মাস অন্তর পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। এছাড়াও কোনও অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

(Disclaimer: এই লেখাটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদানের জন্য। Asianet News এই তথ্যের জন্য দায়ী নয়। আরও তথ্যের জন্য বিশেষজ্ঞ অথবা আপনার পরিচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।)