সংক্ষিপ্ত

মধ্য এশিয়া, চিনের মত শুষ্ক ও আধা শুষ্ক অঞ্চলে পরিবেশ ও অর্থনীতি সবকিছুর ওপর প্রভাব ফেলছে ডাস্ট অ্যারার্জি। ভারতেও বাড়ছে এই জাতীয় রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।

 

প্রবল ধুলো আর ক্রমবর্ধমান বায়ু দুষণের কারণ ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় আমরা সকলেই কমবেশি ভুগে থাকে। বর্তমানে ডাস্ট অ্যালার্জি আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এই সময়া শুধুমাত্র উত্তর আফ্রিকা, আরব উপদ্বীপ , মধ্য এশিয়া, চিনের মত শুষ্ক ও আধা শুষ্ক অঞ্চলে পরিবেশ ও অর্থনীতি সবকিছুর ওপর প্রভাব ফেলছে। ভারতেও ডাস্ট অ্যালার্জির প্রবণতা বাড়ছে গরমকাল আর শীতকালে। কারণ এই সময়টা বৃষ্টির অভাবে মাটি শুকিয়ে গিয়ে দুষণ আর ধুলোর আধিক্য দেখা যায়। আধুনিক জীবনের কঠিন সমস্যা বায়ু দুষণ আর ধুলো ঝড় থেকে বাঁচতে রইল ১০টি টিপস।

১. ডাস্টা অ্যালার্জি থেকে বাঁচার জন্য সহজ যে কাজটা করতে হবে তা হল বাইরে বার হলেই মাস্ক পরতে হবে। N95-গ্রেডের মাস্ক পরাই শ্রেয়। যা মুখ ও নাকের চারপাশ ভালকরে ঢেকে রাখে। সার্জিক্যাল মাস্ক বায়ু দুষণ বা ধুলো থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে না।

২. আশেপাশের বায়ুকে ফিল্টারিং এবং বিশুদ্ধ করে অভ্যন্তরীণ বায়ুর গুণমান বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে প্রমাণিত হয়েছে। এয়ার ফিল্টারের ব্যবহার ধুলোর অ্যালার্জি দূর করতে এবং একটি পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর ইনডোর পরিবেশ তৈরি করে সামগ্রিক শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

৩. ডাস্ট অ্যালার্জির জন্য আপেল সিডার খুবই উপকারী। ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে যাদের সর্দি বা কাশি হয় তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি সামগ্রিক শ্বাসযন্ত্রের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৪. ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে ভেষজ চা পান করুন। যে ভেষজ চায়ে ক্যামোমাইল বা নেটাল, রয়েছে তা খুবই উপকারী।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণ ফল আর শাকসবজি খান। ওমেগা ও ৩ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান।

৬. ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে অনেকেরই চোখ চুলকায় বা জ্বালা করে। এই সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আইড্রপ ব্যবহার করেন। সময় পেলে চোখ পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনের বেলা রাস্তায় বার হলে রোদ চশমা পরলে কিছুটা আরাম পাবেন।

৭. ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে অনেকেরই নাক বন্ধ হয়ে যায়। এর দুটি প্রতিকার একটি হল ইউক্যালিপটাস তেল বা স্প্রেরশ্বাস নেওয়া। এতে ডিকনজেস্ট্যান্ট থাকে যা নাক ও সংলগ্ন এলাকা ময়েশ্চারাইজ করতে পারে।

৮. মাছ, মাংস , দুধ বা দুধ থেকে তৈরি খাবার কম খান, তুলনায় তাজা ফল, শাকসবজি বেশি করে খান। মটরশুঁটি, বাদাম ও স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় খাবার খান। এই খাবারগুলি হার্টঅ্যাকাকের ঝুঁকি কমায়।

৯. যাদের হাঁপানি রয়েছে তারা শীত ও গ্রীষ্মকালে স্টেরয়েড ইনহেলার সঙ্গে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দিনের নির্দিষ্ট সময় সেটি ব্যবহার করুন। এটি সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

১০. গাছপালা বায়ু পরিশ্রুত করার চমৎকার ও সস্তা উৎস। তাই বাড়িতে প্রচুর গাছ লাগাতেই পারেন। ঘরেও গাছ রাখতে পারে। তাতে ঘর যেমন সুন্দর দেখাবে তেমনই ডাস্ট অ্যার্লার্জি থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে।

আরও পড়ুনঃ

Astrological Tips: ভুলেও রাতের বেলা খোলা চুলে ঘুমাবেন না, রইল চারটি কারণ

Fitness Tips: দিনে গুণে গুণে এই ক'পা হাটুন, ঝুঁকি কমবে রোগের- রইল হাঁটার নিয়ম

Healthy food: দই-এর সঙ্গে ভুলেও এই পাঁচটি খাবার খাবেন না, গ্যাস অম্বল থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন