সংক্ষিপ্ত
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী খাবার দই। কিন্তু দইয়ের সঙ্গে যদি এই পাঁচ ধরনের খাবার মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলেই সর্বনাশ।
ভারতের আবহাওয়া দই একটি উপকারী খাবার। বিশেষ করে টক দই। নিত্য দিন অনেকেই দই খেয়ে থাকি। দুগ্ধজাত পণ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে দইয়ের। এক বাটি তাজা দই আর তাতে কিছু কাটা ফল যদি একসঙ্গে খাওয়া যায় তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য রীতিমত উপকারি। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে ফলের তালিকায় যেন কখনই আম না থাকে। অনেকের পছন্দের রাইতা। টক দই , পেয়াজ , শসা, নুন একসঙ্গে করে খাওয়া। অনেকেই মনে করেন এটি খুব উপকারী। কিন্তু অনেক সময় এই রায়তাই বদহজমের কারণ হতে পারে। একই সঙ্গে দইয়ের সঙ্গে কখনই মাছ আর পেয়াজ খাওয়া উচিৎ নয়।
আম আর দই
আম একটি মৌসুমী ফল। এটি গ্রীষ্মকালে জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আর খনিজ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ফাইবার। দইয়ের সঙ্গে একই সঙ্গে খেলে এটি শরীর ঠান্ডা করে। তাপপের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে- যা ত্বকের সমস্যা তৈরি করে। এটি টক্সিন উৎপাদন করতে পারে। কারণ আম গরম আর দই ঠান্ডা। একসঙ্গে খেলে ব্রণ, ফুসকুড়ি, অন্যান্য রোগ তৈরি হতে পারে।
দই আর দুধ
দুধ আর দই দুটি খাবারেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আর ক্যালসিয়াম থাকে। কিন্তু দুটি একসঙ্গে খেলেই বিপদ। অ্যালার্জি, গ্যাস. অ্যাসিডিটি এমনকি বমি পর্যন্ত হতে পারে। কারণ হল দুধ ভারি আর দই হালকা। দই সহজপাচ্য। তাই ভুলেও এই দুটি খাবার একসঙ্গে খাবেন না।
দই ও পেয়াজ
দই ও পেয়াজ , কখনই একসঙ্গে খাবেন না। এটি অ্যালার্জি হয়। গ্যাস অম্বল ও বমিও হতে পারে। দই হল ঠান্ডা খাবার। পেয়াজ সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ পেয়াজ অত্যান্ত ভারি আর শরীর গপম করতে পারে। তাই দই পেয়াজ একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু আমরা অনেক সময়ই রায়তা খাই। বিশেষ করে গরমকালে। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। পেয়াজের বদলে সশা দিয়ে দই খেতেই পারেন।
দই ও তেল জাতীয় খাবার
দই এর সঙ্গে ঘি মাখন একদম খাওয়া ঠিক নয়। দই এর সঙ্গে খেলে আপনার হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং আপনি সারা দিন অলস বোধ করেন।
দই ও মাছ
আমরা অনেকেই রান্নার আগে দই -এর সঙ্গে মাছ বা মাংস মিশিয়ে ম্যারিনেট করি। এতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু খাবার সময় যদি দই আর মাছ বা মাংস এসঙ্গে খাই তাহলে তা শরীরের জন্য বিপজ্জনক। কারণ মাছ বা মাংশ অত্যান্ত প্রোটিন যুক্ত ভারি খাবার। আর দই হালকা। তাই ভুলেও একই পাতে দই আর মাছ মাংস না খাওয়াই শ্রেয়।