সংক্ষিপ্ত

বাতের ব্যাথা থেকে সর্দিকাশির সমস্যা- সবেতেই হলুদ অত্যান্ত উপকারী। কিন্তু আপনি জানেন কি হলুদ যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনই অতিরিক্ত হলুদ খেলে অস্বাস্থ্যকর।

 

হলুদ শুধুমাত্র মশলা নয়, এটি ওষুধ হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। ভারতীয়রা প্রায় সব রান্নাতেই কমবেশি হলুদ খেয়ে থাকেন। এটিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। শরীর থেকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ দূর করতে হলুর মত উপকারী খাবার প্রায় হয় না বললেই চলে। বাতের ব্যাথা থেকে সর্দিকাশির সমস্যা- সবেতেই হলুদ অত্যান্ত উপকারী। কিন্তু আপনি জানেন কি হলুদ যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনই অতিরিক্ত হলুদ খেলে অস্বাস্থ্যকর। এটি শরীরের নানা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। হলুদের ক্ষতি দেখার আগে জেনে নিন হলুদের উপকারীতা। হলুদে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়ান, ফাইবা, আয়রন, কপার, জিঙ্কের মত খনিজ পদার্থ। তবে এগুলি প্রচুর পরিমাণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

অতিরিক্ত হলুদের অপকারিতা-

পেটের সমস্যা

হলুদ প্রচুর পরিমানে খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত হলুদ খেলে পেটে ব্যাথা আর পেটে টান ধরতে পারে।

কিডনিতে পাথর

যাদের কিডনিতে পাথর রয়েছে তাদের জন্য প্রচুর পরিমাণে হলুদ খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। এটি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

বমি ভাব ও ডায়রিয়ার সমস্যা

হলুদে কারকিউমিন পাওয়া যায়। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হলুদ খান তবে আপনি বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ায় ভুগতে পারেন।

অ্যালার্জি

হলুদ অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এতে উপস্থিত কিছু যৌগ অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। ত্বকে হলুদ লাগালে কেউ কেউ ফুসকুড়ি, ফুসকুড়ি, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যায় ভুগতে পারেন।

ডায়াবেটিস

হলুদ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীর রক্ত ঘন হয়ে যায়। এটি পাতলা করতে, ডায়াবেটিস রোগীরা ট্যাবলেট খান। হলুদ রক্ত পাতলা করতেও কাজ করে। অত্যধিক রক্ত পাতলা হওয়া গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের হলুদ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

নাক দিয়ে রক্ত-

যাদের নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য হলুদ খুবই ভয়ঙ্কর হতে পারে। কারণ হলুদ রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। তাই কখনই নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকলে কখনই অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া উচিৎ নয়।