সংক্ষিপ্ত
রসনা তৃপ্তি মানেই ভোজন রশিক বাঙালির কাছে মাছ,মাংস, মিষ্ট একদম গলা পর্যন্ত খাওয়া। আর এই খাওয়ার কারণ অনেক সময়ই অস্বস্তি তৈরি হয় পেটের সমস্যা হয়।
শীতকাল মানেই বিয়ে, উৎসব, মেলা, বাইরে খাওয়া। তেমন কিছু না হলে অবশ্যই থাকবে ফিস্ট বা চড়ুইভাতি। আর এই সব অনুষ্ঠান মানেই প্রচুর প্রচুর খাওয়া। বাঙালির কাছে উৎসব মানেই এলাহী খাওয়া দাওয়া। রসনা তৃপ্তি মানেই ভোজন রশিক বাঙালির কাছে মাছ,মাংস, মিষ্ট একদম গলা পর্যন্ত খাওয়া। আর এই খাওয়ার কারণ অনেক সময়ই অস্বস্তি তৈরি হয় পেটের সমস্যা হয়। পেট ফুলে যায়। তবে এবার কতগুলি টিপস রইল ভোজন রসিক বাঙালির জন্য এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য।
মন দিয়ে খাওয়া
মনযোগ সহকারি নিত্যদিন খাবার খান। খাবারের প্রতিটি কণার স্বাদ গ্রহণ করুন। খাবার যখন খাবেন তখন ভাল করে চিবিয়ে চিবিয়ে খান। তাতে হজম ভাল হবে। ধীরে ধীরে খেলে পেট ভরে গেলে মস্তিষ্ক সংকেত দেয়। তাতে খাওয়া থামিয়ে দিতে পারেন। এতে অতিরিক্ত খাবার সম্ভাবনা যেমন দূর হবে তেমনই পেট ফোলার সমস্যাই দূর হবে।
খাদ্যে সংবেদনশীলতা
আপনার শরীরের বিভিন্ন খাবারের প্রতিক্রিয়ার দিকে মনোযোগ দিন।দুগ্ধজাত খাবার, গ্লুটেন এবং কিছু শাকসবজি এজাতীয় খাবার গুলি একেকটি হজম হতে একেক রকম সময় নেয়। আর সেই কারণে দুবার খাওয়ার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ফারাক রাখা জরুরি। কোন খাবারগুলি আপনার পেট আইঝঢাই করতে পারে সে সম্পর্কে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই খাবারগুলি কম পরিমাণে খান।
কার্বনেটেড পানীয়
কার্বনেটেড পানীয় আপনার পরিপাকতন্ত্রে গ্যাসের প্রবর্তন করে, যার ফলে পেট ফুলে যায়। অস্বস্তি এড়াতে অতিরিক্ত কার্বনেশন ছাড়াই হাইড্রেটেড থাকার জন্য সাদা জল বা ভেষজ চা বেছে নিন।
জল
জল হজমের জন্য অপরিহার্য। এতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এটি খাবারের ভাঙ্গনে সহায়তা করে এবং খাবারের পরে হাইড্রেশন পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে খাবারের মসৃণ উত্তরণকে সমর্থন করে।
হালকা ব্যায়াম
অতিক্তি খাবার পরে শরীরে অস্বস্তি দেখা দিলে ভুলেও শুয়ে পড়বেন না। ধীরে ধীরে হাঁটা চলা করুন। তাতে শরীরের অস্বস্তি কমবে। হজম ভাল হবে। তবে প্রত্যেক দিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে হালকা ব্যায়াম করতেই পরে। এতে হজম শক্তি ভাল হয়।