সংক্ষিপ্ত
ফল বা স্যালাডে নুন মিশিয়ে দিলেই সেটির পুষ্ঠিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ফল খাওয় আর কোনও কাজেই লাগে না।
স্বাস্থ্যের জন্য ফল খুবই উপকারী। তেমনই উপকারী নিয়মিত স্যালাড খাওয়ার। কারণ ফল আর স্যালাডে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার থাকে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাক শক্তি শক্তিশালী হলে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা থাকে। তবে অনেকেই ফল বা স্যালাডে নুন বা লবণ মিশিয়ে খান। অনেকে আবার সেটিকে সুস্বাদু করার জন্য চাট মশালা মিশিয়ে দেন। কিন্তু এটা কী শরীরের জন্য উপকারী? তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্যালাড বা ফলে নুন মিশিয়ে খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা উপকারী হয় না। এতে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধে।
নুনে সমস্যা
ফল বা স্যালাডে নুন মিশিয়ে দিলেই সেটির পুষ্ঠিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ফল খাওয় আর কোনও কাজেই লাগে না। ফলে বা স্যালাডে যদি নিয়মিত স্যালাড খান তাহলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যালার্জিও হতে পারে। হাইব্লাডপ্রেসার থাকলে নুন ছাড়াই ফল খান। হার্টের রোগীদেরও ফল বা স্যালাডে নুন খেতে নিষেধ করে বিশেষজ্ঞরা।
ফলের ওপর লবণ দিলেই জল বের হতে থাকে। যা ফলের পুষ্টি কমিয়ে দেয়। অতিরিক্ত নুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারণ। আবার কাঁচা নুন খেতে চিকিৎসকরা সর্বদা নিষেধ করেন। খণিজ লবণ শরীরের জন্য প্রয়োজন। তাই সেই লবণ খাবার থেকেই সঞ্চয় করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
ফল বা স্যালাড খাওয়ার স্বাস্থ্যকর নিয়ম
একসঙ্গে একটি ফল খাবেন। ফল কখনই কেটে রেখে দেবেন না। স্যালাডও তৈরি করে দীর্ঘ সময় রাখবেন না। স্যালাডে যে আনাজপাতি দেবেন তা খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে কাটেনিন।
টক আর মিষ্ট ফল একসঙ্গে মিশিয়ে স্যালাড তৈরি করবে না।
ফল কেটে রেখে দেবেন না। দীর্ঘ সময় ফল বা স্যালাডের আনাজ কেটে রাখলে তার পুষ্টি গুণ নষ্ট হয়ে যায়।
ফল বা স্যালাডে নুন দেবেন না। প্রয়োজনে রক সল্ট বা বিট নুন ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন নুন মেশিয়ে দীর্ঘ সময় রেখে দেবেন না।
স্যালাডে পেঁয়াজ দিলে তা কখনই ভিনিগারে ভিজিয়ে রাখবেন না। তাতে পেঁয়াজের উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।