সংক্ষিপ্ত

নিয়মিত পুদিনা পাতা খাওয়ার কয়েকটি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। খাওয়ার জলের পাত্রে পুদিনা পাতা রেখে দিন। সেই জল পান করলেও উপকার পাবেন।

 

পুদিনা পাতা- মিন্ট- এটি উপকারী ভেষজ। এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি রূপচর্চার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রান্নার উপকরণ হিসেবে এটি অনেকেই ব্যবহার করেন। সরবতেও ব্যবহার করা হয়। যেভাবেই হোক না কেন নিয়মিত পুদিনা পাতা খাওয়ার কয়েকটি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। খাওয়ার জলের পাত্রে পুদিনা পাতা রেখে দিন। সেই জল পান করলেও উপকার পাবেন।

পুদিনা পাতার পাঁচটি স্বাস্থ্যকর উপকারিতাঃ

১. হজম - পুদিনা পাতা প্রাকৃতিকভাবে হজমে সাহায্য করে। এটি পরিপাকতন্ত্রের পেশীগুলিকে শিথিল করে। ফোলাভাব কমায়। গ্যাসের সমস্যা সমাধানে দুর্দান্ত কাজ করে। বদহজম হলে পুদিনা পাতার জল পান করলেই উপকার পাবেন। কোনও তেলমশলাদার খাবারের পরেই পুদিনা পাতার জল পান করলে সহজেই হজম হয়ে যাবে।

২. সতেজ শ্বাস -মুখের দুর্গন্ধ, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ত দূর করতে পারে পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতা অ্যান্টিব্যাকটোরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মুখে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে পুদিনা পাতা। তাই যাদের মুখে গন্ধ হয় তারা নিয়মিত পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। পুদিনা পাতা রান্নায়ও ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা পাতার জলও পান করতে পারেন।

৩. শ্বাসযন্ত্রের জন্য উপকারী- পুদিনা পাতা শরীর ঠান্ড করতে সাহায্য করে। এটি শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে পারে। পুদিনা এসেনশিয়াল ওয়েল ব্যবহার বা উষ্ম পুদিনা চা সর্দি কাশির মত সমস্যা সমাধান করতে পারে। সর্দি বা অ্যালার্জির সমস্যা সমাধানে পুদিনা অত্যন্ত উপকারী।

৪. ত্বকের যত্ন - পুদিনা পাতা ত্বকের জন্য উপকারী। এটিতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটোরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ত্বকের স্বাস্থ্যে জন্য উপকারী। তাজা পুদিনা পাতা থেকে তৈরি একটি পেস্ট ত্বকের জন্য ভাল। এটি চুলকানি , ব়্যাশের মত সমস্যা সমাধানে উপকারি। যাদের সংবেদনশীল ত্বক তারা কোনও পুদিনা পাতা নিশ্চিন্তে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

৫. মননশীল মেজাজ - গবেষণায় দেখা গেছে পুদিনা পাতা বা মিন্ট মন ভাল করতে পারে। এর শান্ত, সুগন্ধ মন ভাল করে পারে। এটি স্মৃতি শক্তি উন্নত করতে পারে। নিয়মিত পুদিনার চা বা সরবত মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। পুদিনার তেল একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারে।