সর্দি-কাশি দূর করতে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা, এই পাঁচ উপায় দ্রুত মিলবে উপকার
ঋতু পরিবর্তনের কারণে হওয়া সর্দি ও কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া টোটকা কার্যকরী হতে পারে। হলুদ দুধ, মধু ও কালো মরিচ, বিশেষ ভেষজ চা এবং নুন জলে গার্গল করার মতো পদ্ধতিগুলি বুকের কফ ও গলার ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

ক্রমে বদল হচ্ছে আবহাওয়া। কখনও গরম তো কখনও বৃষ্টি। মাঝে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া অনুভূত হয়েছিল অনেক জায়গায়। এরই মাঝে ফের শুরু হল বৃষ্টি। এই সকল ঋতু পরিবর্তনের কারণে শরীরে দেখা দিচ্ছে নানান রোগ। বিশেষ করে এই সময় সর্দি ও কাশির সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। শীতের সময় কম বেশির কাশির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা। জেনে নিন বিশেষ টিপস।
হলুদ দুধ খেতে পারেন। হলুদ কেবল রান্নার জন্যই নয়, এটি শারীরিক জটিলতা দূর করতে পারে। অ্যান্টি ভাইরাল এবং নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্য আছে এতে। সর্দি কাশির মরশুমে রোজ হলুদ দুধ খান। এতে মিলবে উপকার। এক গ্লাস দুধে আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো নিন। তা ফুটিয়ে নিন। কারকিউমিন ভালোভাবে শোষণের জন্য আপনি এক চিমটে কালো মরিচ যোগ করুন। রোজ ঘুমানোর আগে এটি খান। মিলবে উপকার। হলুদ প্রদাহ বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্য যুক্ত।
খেতে পারেন মধু ও কালো মরিচ। কালো মরিচে কফ নিরোধক বৈশিষ্ট্য আছে। যা বুকের কফ জমতে দেয় না। তেমনই মধু গলার ব্যথা উপশম করে। এক চিমটে কালো মরিচ নিন। এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে তা মিশিয়ে নিন। একবার খান। কালো মরিচ ভিটামিন সি-এ সমৃদ্ধ। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মধু শ্লেষ্মা গঠন কমাতে সাহায্য করে।
বিশেষ চা- বানিয়ে খেতে পারেন। ৫-৬টি তুলসী পাতা, দারুচিনি, আধা চা চামচ কালো মরিচ, ১ ইঞ্চি আদা এবং ২-৩ টি লবঙ্গ জলে ফুটিয়ে নিন। অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত ফুটতে দিন। তারপর তা ছেঁকে নিন। দিনে ১-২ বার এই ভেষজ পানীয় পান করলে মিলবে উপকার। এই চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মশলা থাকে। যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
তেমনই গলার সমস্যা শুরু হলে নুন জলে গার্গল করুন। এক গ্লাস হালকা গরম জল নিন। তাতে এক চামচ নুন দিন। এবার এক চিমটে হলুদ দিতে পারেন। এই জলে গার্গল করুন। দিনে ২-৩ বার করলে গলার সমস্যা মুহূর্তে দূর হবে।

