শীত পড়লেই রোগ প্রতিরোধের কথা মাথায় রেখে অনেকেই চ্যবনপ্রাশ খাওয়া শুরু করেন। আয়ুর্বেদে এই টনিকের গুরুত্ব বহুদিনের। চ্যবনপ্রাশ সাধারণত নানা ভেষজ, মসলা ও পুষ্টিকর উপাদানের মিশ্রণে তৈরি হয় 

চ্যবনপ্রাশ সাধারণত নানা ভেষজ, মসলা ও পুষ্টিকর উপাদানের মিশ্রণে তৈরি হয়। এর মূল উপাদান আমলকি, যা ভিটামিন–সি-তে ভরপুর। সঙ্গে থাকে ঘি, মধু, তিল বা তিলের তেল, দালচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, যষ্টিমধু, অশ্বগন্ধা, বেল, গিলয়, পিপুল, নাগকেশর, ভৃঙ্গরাজ–সহ আরও বহু আয়ুর্বেদিক গাছগাছড়া ও মশলা। এসব উপাদান ধীরে ধীরে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করা হয়। এই ভেষজ মিশ্রণকে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে, শক্তি জোগাতে ও শীতকালে শরীর গরম রাখতে উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু ঠিক কতটা পরিমাণে চ্যবনপ্রাশ খেলে উপকার মেলে, জেনে নিন বিস্তারিত।

শীতকালে স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য প্রতিদিন ১ চা চামচ চ্যবনপ্রাশ খাওয়া উচিত। তবে এটি সকালে খালি পেটে বা খাবারের আগে খেলে সবচেয়ে ভালো উপকার পাওয়া যায়। যদি দিনে দুবার খেতে চান, তবে সকালে একবার এবং রাতের খাবারের অন্তত ৩০ মিনিট আগে বা খাওয়ার ২ ঘন্টা পর খেতে পারেন। এটি শিশুর থেকে বয়স্ক সব বয়সের মানুষের জন্য নিরাপদ।

কখন খাবেন :

* দিনে একবার হলে : সকালে খালি পেটে বা খাবারের আগে ১ চা চামচ।

* দিনে দুবার হলে : সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় (রাতের খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা ২ ঘন্টা পর) আবার ১ চা চামচ।

কেন খাবেন রোজ চাবনপ্রশ :

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: চ্যবনপ্রাশে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

* ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধ: এটি ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

* ত্বকের স্বাস্থ্য: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বককে সুস্থ রাখে।

সতর্কতা:

* অতিরিক্ত না খাওয়ার পরামর্শ: অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে, যেমন পেট ফাঁপা, বদহজম বা ডায়রিয়া।

* গর্ভবতী মহিলাদের জন্য: গর্ভাবস্থায় চ্যবনপ্রাশ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

* ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য: সাধারণ চ্যবনপ্রাশের পরিবর্তে চিনি-মুক্ত বিকল্প (যেমন: ডাবর চ্যবনপ্রকাশ সুগারফ্রী) খেতে পারেন, তবে তাও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।