ইদানীং অনেকেই সকালে খালি পেটে বাজার থেকে কেনা আমলকির রস খান। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আমলকির রসের চেয়ে গোটা একটি আমলকির পুষ্টিগুণ বেশি।
শীতের সংক্রমণ ঠেকাতে গোটা আমলকি ও আমলকির রস—দুটিই উপকারী! তবে গোটা আমলকি খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর কারণ এতে ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান অক্ষুণত থাকে, যা হজম ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে; অন্যদিকে আমলকির রস দ্রুত ভিটামিন সি সরবরাহ করে, তবে প্রক্রিয়াকরণের কারণে ফাইবারের পরিমাণ কমে যায়, তবে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যায় বেশি কার্যকর হতে পারে, তাই সুষমভাবে দুটিই খাওয়া উচিত।
** গোটা আমলকির উপকারিতা:
* সম্পূর্ণ ফাইবার: গোটা আমলকিতে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
* অক্ষত ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: কাঁচা আমলকি খেলে ভিটামিন সি, পলিফেনল ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন এমব্লিকানিন, গ্যালিক অ্যাসিড পুরোপুরি পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
* হজমে সহায়ক: এটি আয়ুর্বেদে মহৌষধ হিসেবে পরিচিত, যা কফ নিয়ন্ত্রণ করে সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে।
** আমলকির রসের উপকারিতা:
* দ্রুত শোষণ: রস দ্রুত শরীরে শোষিত হয়, ফলে তাৎক্ষণিক ভিটামিন সি ও পুষ্টি সরবরাহ করে।
* পেটের সমস্যার জন্য উপকারী: রস পেটের উপর শীতল প্রভাব ফেলে, যা অ্যাসিডিটি, গ্যাস ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
* ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: প্রতিদিন সকালে ওয়ার্ক আউটের সঙ্গে আমলকির রস পান করলে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
** কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর?
* দীর্ঘমেয়াদী ও সম্পূর্ণ উপকারিতার জন্য: গোটা আমলকি খাওয়া ভালো কারণ এতে ফাইবার ও অন্যান্য উপাদান বেশি থাকে।
* দ্রুত পুষ্টি ও পেটের সমস্যার জন্য: আমলকির রস উপকারী।
* সুষম পদ্ধতি: শীতকালে সংক্রমণ এড়াতে উভয় পদ্ধতিই অবলম্বন করা যায়। কাঁচা আমলকি খাওয়া, নুন-লেবু দিয়ে শুকিয়ে খাওয়া, আচার বা রস—যে কোনোভাবেই আমলকি খাওয়া যেতে পারে, তবে প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়া সবচেয়ে ভালো।
