সংক্ষিপ্ত

মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আঙুলে 'ট্রিগার ফিঙ্গার' নামক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে, যার ফলে আঙুলে ব্যথা, ফোলাভাব এবং শক্ত হয়ে যাওয়া।

 

আজকের ডিজিটাল যুগে আমাদের সবার হাতেই মোবাইল ফোন আর কাঁধে ল্যাপটপের ব্যাগ দেখা যায়। প্রতিটি কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কথোপকথন হোক, খবর পড়া হোক বা অনলাইন কেনাকাটা হোক, আমাদের হাতে সব সময়ই মোবাইল ফোন থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এইসব গ্যাজেটের বেশি ব্যবহার করলে আমাদের আঙ্গুলের অনেক ক্ষতি হয়? মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আঙুলে 'ট্রিগার ফিঙ্গার' নামক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে, যার ফলে আঙুলে ব্যথা, ফোলাভাব এবং শক্ত হয়ে যাওয়া।

বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় মোবাইলের কম ব্যবহারে আমাদের নজর দিতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ট্রিগার ফিঙ্গার কী, এর লক্ষণগুলো কী এবং তা থেকে বাঁচার উপায় কী।

ট্রিগার ফিঙ্গার এর উপসর্গ কি কি?

সকালে আঙুল শক্ত হয়ে যায়।

আঙুল নাড়াচাড়া করলে একটা টিক টিক শব্দ শোনা যায়।

আক্রান্ত আঙুলের নিচের তালুতে ব্যথা বা পিণ্ড অনুভূত হয়।

কখনও কখনও আঙুল হঠাৎ বেঁকে যায় এবং তারপর আবার খোলে।

আঙুলটি কিছু সময়ের জন্য বাঁকানো অবস্থায় থাকে।

এই লক্ষণগুলি যে কোনও আঙুলে ঘটতে পারে এবং সকালে আরও খারাপ অবস্থা হয়।

 

ট্রিগার আঙুলের কারণ-

আমরা যদি ক্রমাগত আমাদের আঙ্গুলগুলিকে বাঁকা বা সোজা করি বা জোর করে ব্যবহার করি তবে আঙ্গুলের শিরাগুলি ফুলে যায়।

আঙ্গুলের স্নায়ু একটি খাপ দিয়ে আবৃত থাকে যা তাদের সহজেই নড়াচড়া করতে পাড়ে। কখনও কখনও সেই কভারটিও ফুলে যায়।

শিরার আবরণে ক্রমাগত কষ্টের কারণে সেখানে ক্ষত ও দাগ তৈরি হয় এবং তা পুরু হয়ে যায়।

এমতাবস্থায় আমরা যখন আঙুল বাঁকাই, সেই পাতলা আবরণ থেকে বেরিয়ে আসার সময় সেই ফোলা শিরাটি টিকটিক শব্দ করে।

 

ট্রিগার আঙুলের জন্য প্রাথমিক চিকিত্সা-

বিশ্রাম: হাতকে বিশ্রাম দেওয়া এবং এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কার্যকলাপগুলি এড়িয়ে চলুন।

স্প্লিন্ট: রাতে স্প্লিন্ট পরে আক্রান্ত আঙুল বা বুড়ো আঙুল সোজা রাখা।

ব্যায়াম: হাতের জন্য হালকা স্ট্রেচিং ব্যায়াম করা যা শক্ততা কমাবে।

ওষুধ: প্যারাসিটামলের মতো ওষুধগুলি ব্যথা এবং ফোলা কমাতে পারে।

স্টেরয়েড ইনজেকশন: কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন, যা প্রদাহ কমায়, আক্রান্ত আঙুলের নিচে দেওয়া যেতে পারে।

এর সঙ্গে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং তাদের কথা মতোই ব্যবস্থা নিন-