সংক্ষিপ্ত
শিশু যদি খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং শারীরিক পরিশ্রমে দুর্বল বোধ করে, তাহলে বুঝবেন সে সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে না। এর অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণে শিশুর বিরক্তি, মাংসপেশি মোচড়ানো, দুর্বল হাড়, শ্বাসকষ্ট ও হাঁটতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
বেশিরভাগ শিশুই দুধ খেতে পছন্দ করে না। তাদের দুধ খাওয়াতে মায়েদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। কারণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্যালসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই তারা শিশুদের দুধ খাওয়ানোর জন্য জোর দেন। কিসমিস, বাদাম, তরমুজ, পেস্তা এবং আখরোটের মতো শুকনো ফল শিশুদের খাওয়ান। এতে তাদের শরীরে কখনই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হবে না। কিউই, নারকেল, আম, জায়ফল, আনারস এবং কাস্টার্ড আপেল খাওয়ানোও শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি রোধ করতে পারে। শিশু যদি খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং শারীরিক পরিশ্রমে দুর্বল বোধ করে, তাহলে বুঝবেন সে সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে না। এর অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণে শিশুর বিরক্তি, মাংসপেশি মোচড়ানো, দুর্বল হাড়, শ্বাসকষ্ট ও হাঁটতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
কত ক্যালসিয়াম প্রয়োজন
১ থেকে ৩ বছরের শিশুদের দৈনিক ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
৪ থেকে ৮ বছর বয়সী শিশুদের ১ হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
একই সময়ে, ৯ থেকে ১৮ বছরের একটি শিশুর দৈনিক ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেব দুধের উপকারিতা অনেক। যার মধ্যে রয়েছে ত্বকের জেল্লা। পাশাপাশি দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। যা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। প্রতিদিন অন্তত একগ্লাস দুধ পান করা জরুরি। হাড় আর দাঁতের পাশাপাশি শরীরের জন্য দারুণ কাজ করে এক গ্লাস দুধ।
দুধে ক্যালসিয়াম থাকে , যা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। দুধপান দাঁতকে শক্তিশালী করে। দুধে নিরপেক্ষ পিএইচ ব্যাকটেরিয়া থাকে। সেটিও দাঁতের জন্য জরুরি। দুধে প্রচুর পরিনাণে ফসফরাস থাকে। যা দাঁতের এনামেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
যারা কম চর্বিযুক্ত দুধ পান করেন তাদের অ্যাডিপোসিটি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে যা আরও স্থূলতা প্রতিরোধে সহায়তা করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব শিশুরা নিয়মিত দুধ পান করেন তাদের মোটা হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ কম থাকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।