পাউরুটি আর অমলেট। সহজ, সুস্বাদু, আরামদায়ক। কিন্তু প্রতি দিন এই খাবার খেতে হলে জেনে নিতে হবে, শরীরের উপর তার প্রভাব কেমন। আপনি কোন পাউরুটি বেছে নিচ্ছেন, অমলেট কী ভাবে বানাচ্ছেন, কোন তেলে রাঁধছেন, তার উপর নির্ভর করছে এই খাবার স্বাস্থ্যকর কি না।
সুস্বাস্থ্যর জন্য সকালের খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও, বেশীরভাগ মানুষই এই সময়ের খাওয়া নিয়ে বেশি অবহেলা করেন। অনেকে আবার খেলেও রুটিন হিসেবে ডিম পাউরুটিতেই আটকে থাকেন। তবে জানেন কী, নিত্যদিন এই ডিম পাউরুটি খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনতে পারে আপনার জীবনে কিছু সমস্যা। পাউরুটি ও ডিমভাজা খাওয়ার আগে জেনে নিন এই জিনিসগুলি!
ডিমে প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি রয়েছে। কিন্তু পাউরুটির সঙ্গে কার্বোহাইড্রেটও পাওয়া যায়। প্রাতঃরাশে খাওয়া পাউরুটি ও ডিমভাজা থেকে ম্যাক্রোস, প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট এবং ফ্যাট পাওয়া যায়। তবে যদি ওই ডিমভাজার ক্ষেত্রে ভুল তেল ব্যবহার করা হয়, তবে তা নিমেষেই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদিও, ডিমে থাকে প্রোটিন। যা পেশিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল, নখ এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রেও ডিমের জুড়ি মেলা ভার। তাই সপ্তাহে সাতদিন সাতটা ডিম খাওয়াও সমস্যার নয়। তবে যদি কোলেস্টেরলের সমস্যা বা হার্টের সমস্যা থাকে, তাহলে বেশি ডিম না খাওয়াই ভালো।
পাউরুটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কত, তা নির্ভর করে তার ধরনের উপর। যদি পাউরুটি গোটাশস্যের হয়, তা হলে তাতে ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ বেশি থাকে। এতে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সহজে। হোলগ্রেন পাউরুটি খেলে পেট বেশি ক্ষণ ভরা থাকে। অন্য দিকে মাল্টিগ্রেন পাউরুটি বিভিন্ন শস্য মিলিয়ে বানানো হয় বলে পুষ্টিগুণ আরও বেশি। আর পরিশোধিত সাদা পাউরুটি বানানো হয় দানাশস্যের খোসা ছাড়িয়ে। এটি খেলে রক্তে গ্লুকোজ় দ্রুত শোষিত হয়। সাদা পাউরুটি সাধারণত ময়দা দিয়ে তৈরি বলে এতে ফাইবার কম থাকে এবং প্রিজ়ারভেটিভ বেশি থাকে। এতে হজমের সমস্যা বাড়তে পারে, রক্তে সুগার হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে, এবং দীর্ঘ দিন ধরে খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। পুষ্টিগুণ তুলনামূলক ভাবে কম এই সাদা পাউরুটিগুলিতে।
তবে পাউরুটি রোজ না খাওয়াই ভালো। রোজ খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তচাপজনিত সমস্যাও হতে পারে। তবে, পাউরুটি ও ডিমভাজার সঙ্গে সেক্ষেত্রে কিছু শাকসবজিও জলখাবারে খেতে পারেন। তবে বেশি বেলা হয়ে গেলে এই খাবার না খাওয়াই ভালো।
এ বার অমলেটের প্রসঙ্গে আসা যাক। ডিম, অর্থাৎ উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিনের উৎস দিয়ে তৈরি করা হয় অমলেট। নিয়মিত অমলেট খেলে শরীরে শক্তি বাড়ে, পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং বিপাকক্রিয়া সক্রিয় রাখে। তাই পাউরুটি আর অমলেটের যুগলবন্দি অনেকেরই পছন্দের। অমলেটে যদি টম্যাটো, পেঁয়াজ, শাকসব্জি যোগ করেন, তা হলে এই জলখাবার আরও বেশি পুষ্টিকর হয়। ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যুক্ত করার জন্য এই পদ্ধতিতে অমলেট বানাতে পারেন।


