Boiled Milk: প্যাকেটজাত দুধ বাজার থেকে কিনে বাড়িতে আবার ফুটিয়ে নেন? নাকি তাজা গরুর দুধ না ফুটিয়েই খাচ্ছেন? কোন দুধ কীভাবে খাবেন জানুন। অসাবধানতায় হতে পারে বিপদ। দুধকে সুষম আহার বলা হলেও, সবসময় দুধ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়।

Milk: এখন শহরে সব জায়গায় আর গোয়ালঘর নেই যে কাঁচা খাঁটি গরু বা মোষের দুধ পাওয়া যাবে। আর শহরের ব্যস্ত জীবন যাপনে প্যাকেটজাত দুধই শেষ ভরসা। ফলে বেশিরভাগ মানুষই বাজারে পাওয়া প্যাকেটজাত বা টেট্রা প্যাক দুধের উপর নির্ভর করে থাকেন। এই ধরনের দুধ সহজলভ্য, সংরক্ষণে সুবিধাজনক এবং অনেকাংশে নিরাপদও। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে — এই দুধ কি ফুটিয়ে খাওয়া দরকার? কিংবা প্যাকেট খোলার কতক্ষণ পর পর্যন্ত দুধ পান করা নিরাপদ? এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া দরকার।

প্যাকেটজাত দুধ কি ফোটানো প্রয়োজন?

ডায়েটিশিয়ানরা বলেন, যদি খাঁটি গরু বা মহিষের দুধ পান, তাহলে তা অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে। কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা আমাদের পেট খারাপ বা শরীরে অন্যান্যভাবে ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু দুধের টেট্রা প্যাক বা প্যাকেটের দুধ খুব ভালোভাবে গরম করে বিশুদ্ধ করা হয় ফ্যাক্টরিতেই। একে পাস্তুরিত দুধ বলা হয়। অনেক পলিপ্যাকের গায়ে লেখা থাকে pasteurized milk। অর্থাৎ এই দুধ ইতিমধ্যেই পান করার জন্য নিরাপদ। এই ধরনের দুধ বারবার বা খুব বেশি সময় ধরে ফুটিয়ে নিলে এতে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ কমে যেতে পারে। ফলে দুধের পুষ্টিগুণ তো পাবেনই না, বরং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতএব, পলিপ্যাকের দুধ ফুটানোর কোনও প্রয়োজন নেই। হওয়ার জন্য দরকার হলে কেবল সামান্য গরম করে নিলেই হবে। টেট্রা প্যাকের ক্ষেত্রেও দুধ ফোটানোর পড়ে না। টেট্রা প্যাকের দুধ প্রথমে খুব দ্রুত ১৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেখে কয়েক সেকেন্ডের জন্য গরম করে দেওয়া হয়। এরপর স্টেরিলাইজড পরিষ্কার প্যাকে সিল করা হয়। এই প্রক্রিয়ার সময় দুধে থাকা সমস্ত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। অর্থাৎ এই দুধ সরাসরি প্যাক থেকে খাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। বাড়িতে আলাদা করে ফুটানোর কোনও প্রয়োজন নেই। তবে আপনি গরম দুধ পছন্দ করে থাকেন, তাহলে সামান্য গরম করতে পারেন। এটি শুধুমাত্র আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে।

বারবার ফোটালে দুধের কী ক্ষতি হয়?

দুধ একাধিকবার ফোটালে এর গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ কমে যেতে পারে। বিশেষ করে তাপে নষ্ট হয়ে যায় ভিটামিন : ভিটামিন B1 (থায়ামিন), ভিটামিন B2 (রাইবোফ্লাভিন), ভিটামিন B3 (নিয়াসিন), ভিটামিন B6, ফলিক অ্যাসিড এই পুষ্টিগুণ গুলি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় তাপে। প্রোটিন ও ফ্যাটের গঠন পরিবর্তন : অতিরিক্ত তাপে ফোটালে দুধের কিছু প্রোটিন পরিবর্তিত হয় এবং এর চর্বি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। তবে ক্যালসিয়াম বা চর্বির মোট পরিমাণ খুব বেশি পরিবর্তিত হয় না। সংরক্ষণে সমস্যা : দুধ বারবার ফুটিয়ে ঠান্ডা করতে থাকলে নষ্ট হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। প্রয়োজনে একবার হালকা গরম করুন। তবে বারবার ফোটাতে যাবেন না।

প্যাকেট খোলার পর দুধ কতক্ষণ পর্যন্ত রাখা নিরাপদ?

দুধ প্যাকেট খোলার পর তা সংরক্ষণের উপর নির্ভর করে কতদিন তা নিরাপদ থাকবে। ফ্রিজে সংরক্ষিত পাস্তুরিত বা টেট্রা প্যাক দুধ খোলার পর তিন থেকে চার দিনের মধ্যে খাওয়া উচিত। তবুও দিনের দিন না খেলে পরে যখন দুধ খাবেন, খাওয়ার আগে গন্ধ ও স্বাদ দেখে নেবেন। টক গন্ধ বা জমাট দেখা দিলে তা আর খাওয়া উচিত নয়।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।