সংক্ষিপ্ত

বর্তমান যুগে হার্ট অ্যাটাকের জন্য কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। যে কোনও বয়সের মানুষই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। ফলে সবারই সতর্ক থাকা উচিত।

বেশিরভাগ সময়ই হৃদরোগ হয় শৌচাগারে। এর পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। স্নান করার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। স্নান করার সময় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করতে হয়। এর ফলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। চিকিৎসকদের মতে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। অসুস্থ বোধ করলেই পরিবার-পরিজনদের জানিয়ে রাখা উচিত। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ঠান্ডা জল বা গরম জল, স্নান করার সময় যে জলই ব্যবহার করুন না কেন, হার্টের উপর চাপ পড়ে। শরীর খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা জল সহ্য করতে পারে না। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে প্রভাব পড়ে। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, স্নানের সময় যাঁদের কাঁধের উপর থেকে জল পড়ে, তাঁদের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া-সহ হার্টের বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা থেকে যায়।

হৃদরোগের লক্ষণ কী?

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগের কিছু লক্ষণ আছে। বুকে ব্যথা, হঠাৎ শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা, হঠাৎ ঘুম পাওয়া, বমি পাওয়া, শ্বাসকষ্ট, সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়া হৃদরোগের লক্ষণ। এই ধরনের লক্ষণ দেখলেই সতর্ক থাকা উচিত। চিকিৎসকরা বলছেন, শৌচাগারে যে অবস্থাতেই হৃদরোগের লক্ষণ মনে হবে, সেই মুহূর্তেই লজ্জা না পেয়ে অন্য কারও সাহায্য নিতে হবে।

কীভাবে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে?

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কারও যদি হার্টের সমস্যা থাকে, তাহলে স্নান করার সময় কখনও বুকের উপর বেশি পরিমাণে গরম জল ঢালা যাবে না। বাথটাবে বেশিক্ষণ থাকা চলবে না। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর গরম জলে স্নান করা চলবে না। শৌচাগারে ঢুকলে বাড়ির কাউকে সতর্ক থাকতে বলতে হবে। শৌচাগারে বেশিক্ষণ থাকলে বাড়ির কাউকে ডাকতে বলে দেওয়া উচিত।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

এই লক্ষণ দেখলেই সর্বনাশ! যেকোনও মুহূর্তে হতে হার্ট ব্লক, এড়িয়ে গেলেই মৃত্যু

হার্ট অ্যাটাক হলে প্রাণ বাঁচাবে মাত্র ৭ টাকা, হাতের কাছে রাখুন এই ৩টি জিনিস

সব থেকে বেশি হার্ট অ্যাটাক হয় সোমবারে! কারণ জানলে হতবম্ব হয়ে যাবেন