সংক্ষিপ্ত

আপনি ভাবছেন, হাতের কাজটা শেষ করেই জাস্ট উঠবেন। 

কারণ, কাজ শেষ হওয়ার আগেই চলে এল আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ডেডলাইন। পরিস্থিতিই এমন, যেন সেই কাজটিই আগে শেষ করতে হবে। তাই কাজের চাপে চায়ের বিরতি মাথায় উঠল। সেইসঙ্গে, হজমশক্তির অবস্থাও খারাপ। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

আসলে কাজের ফাঁকে সময়মতো চা পানের বিরতি না পাওয়া খুব একটা সমস্যা নয়। আসল সমস্যা হল, কাজের চাপে অফিসের ডেস্ক থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উঠতে না পারা এবং এক জায়গায় একইভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ওই অভ্যাসই স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

কারণ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় বসে থাকাটা অভ্যাসের পর্যায়ে পৌঁছে গেলে, তা পেট এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করেই বলছেন তারা। কারণ, বসে থাকলে রক্ত সঞ্চালনও কম হয়। যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের উপর বেশ চাপ ফেলে। আবার বসে থাকলে পাকস্থলী এবং অন্ত্রও সঙ্কুচিত হয়ে যেতে থাকে।

একটানা বসে থাকলে, তা দীর্ঘক্ষণ একইভাবে সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। ফলে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। সকালে ব্রেকফাস্ট করে অফিসে আসেন অনেকেই। আবার অনেকে অফিসে গিয়েও ব্রেকফাস্ট করেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে খাবারটা পাকস্থলীতে গেল, সেটা হজম হতে তো একটা মিনিমাম সময় লাগবে। স্বাভাবিক হাঁটাচলার করলে ক্যালোরি খরচ হবে এবং হজমও হবে তাড়াতাড়ি। কিন্তু বসে থাকলে একই খাবার হজম হতে অনেকটা বেশি সময় নেবে। ফলে, পেটভার হয়ে থাকা, গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন কম হওয়ার জেরে হজমশক্তি প্রভাবিত হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, বসে থেকে কাজ করার জন্য সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় কোষ্ঠের। ফলে, সহজে পেট পরিষ্কার হয় না এবং অন্ত্রে বর্জ্য থেকে যায়। এমনকি, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

সবথেকে বড় বিষয় হল, পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শরীরের একাধিক রোগ দ্রুত সেরে যায়। কারণ, পেটের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হরমোনের স্তর এবং শরীরের ওজন। যা পরোক্ষে হার্টের স্বাস্থ্য, মস্তিষ্ক সঞ্চালন এবং মেজাজের দিশাও কিছুটা ঠিক করে দেয়।

শুধু তাই নয়, পেটের স্বাস্থ্যের সরাসরি প্রভাব পড়ে ত্বকেও। তাই পেটের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, যখনই কাজে বসবেন, তখনি মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। সেইসঙ্গে, নিয়মিত বিরতি নিন। অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট অন্তর ডেস্ক থেকে উঠে সামান্য হাঁটাহাঁটি করে নিন।

সেই সময় কাউকে ফোন করার মতো কাজটিও করে নিতে পারেন। সেইসঙ্গে, ফাইবার বেশি আছে এমন খাবার খান। অন্যদিকে, দই জাতীয় প্রোবায়োটিক্স বেশি খান। এছাড়াও ধোকলা, ইডলি, দোসা, মাখন তোলা দুধ জাতীয় জারিয়ে তৈরি করা খাবারও পেটের জন্য বেশ ভালো অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে কি না, সেইদিকে নজর দিন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।