মুখ ও গায়ের দুর্গন্ধের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। নামিদামি পারফিউম বা টুথপেস্ট ব্যবহার করেও কোনও লাভ হয় না। ঘরোয়া টোটকা ফিটকিরি দিয়ে দূর করুন এই সমস্যা।

আজ থেকে আর হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হবে না ঘামের দুর্গন্ধ বা মুখের গন্ধের জন্য, প্রায় বিনা মূল্যেই সাড়বে সমস্যা। মুখে দুর্গন্ধ বা গায়ে ঘামের দুর্গন্ধগের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। ফলে লোকজনের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে বা মেলামেশা করতে অপ্রস্তুত হতে হয় তাদের। নামি দামি পারফিউম, আতর বা মুখের জন্য পেপারমিন্ট স্প্রে, টুথপেস্টে অনেক কিছুই ব্যবহার করে থাকেন। উপইসম হচ্ছে না কিছুতেই। ঘরোয়া এক টোটকা, দারুণ কাজ করবে। অ্যালুমিনিয়াম সালফেট এবং পটাশিয়াম সালফেট দিয়ে তৈরি হয় ফিটকিরি। কম দাম অন্যান্য প্রসাধনির থেকে। বাজারে পেলে নিয়ে আসুন। কীভাবে ব্যবহার করবেন আসুন জেনে নেওয়া যাক।

মুখে দুর্গন্ধর কারণ : সাধারণত দাঁত, দাঁতের গোড়া, মাড়ি, জিভ, মুখগহ্বরের কোনও রকম সংক্রমণ হলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। তাই খাওয়ার পর ঠিক মতো মুখ না ধুলে, পর্যাপ্ত জল না খেলেও মুখে গন্ধ হতে পারে। মুখ যাঁদের শুষ্ক হয়ে থাকে, তাঁদেরও মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতা বেশি। মুখ খোলা রেখে যাঁরা ঘুমোন, তাঁদের মুখ শুষ্ক হয়ে থাকে। শুধু তা-ই নয়, শরীরে কিছু রোগ বাসা বাঁধলেও এই সমস্যা হতে পারে। যেমন - লিভার বা কিডনির সমস্যা, পেটের সমস্যা এমনকি স্বসযন্ত্রের সমস্যা হলেও এমনটি হতে পারে।

দুর্গন্ধ নিরাময়ে কী করণীয়?

ফিটকিরি মিশ্রিত জল দিয়ে কুলকুচি করার। এক গ্লাস গরম জলে এক গ্রাম ফিটকিরি এবং এক চিমটি রক সল্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। এবার ওই জল দিয়ে কুলকুচি করে নেবেন মুখের সমস্ত জীবাণু অতি সহজেই ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে এই জল কিন্তু ভুলেও খাবেন না। এইভাবে কয়েকদিন অন্তর অন্তর করুন দেখবেন ধীরে ধীরে মুখের স্বাস্থ্য ফিরে আসছে। সেই সাথে দুর্গন্ধও হবে দূর।

ঘামে দুর্গন্ধর কারণ : সাধারণত ঘাম ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসামাত্রই দুর্গন্ধ তৈরি হতে শুরু করে। গায়ের দুর্গন্ধের নানারকম ধরন হয়ে থাকে। যেমন, ডায়াবেটিসের কারণেও গায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। শুধু ডায়াবেটিস নয়, লিভার ও কিডনির সমস্যাতেও গায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। লিভারের সমস্যা থাকলে গায়ে দুর্গন্ধ বেশ তীব্র ও বিরক্তি উৎপাদক হয়ে থাকে। পাশাপাশি থাইরয়েডের সোনিষ্য থাকলেও দুর্গন্ধ হয় ঘামে।

কী করণীয়?

শরীরে অতিরিক্ত ঘাম জমতে থাকলে দুর্গব্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ফিটকিরিতে ঘাম শুষে নেয়ার বা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে ফেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও ফিটকারির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ঘাম থেকে জীবাণু তৈরী হতে দেয় না। তাই সেক্ষেত্রে প্রতিদিন স্নানের পর ফিটকিরি বগলে ঘষে নিন।শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ দূর হবে নিমেষে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ফিটকিরি ব্যবহারের পর কোন পারফিউম ব্যবহার করতে যাবেন না।