সংক্ষিপ্ত

এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। মানুষ প্রায়ই আমের সাথে এমন কিছু খায়, যা আমের সাথে খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং পেট খারাপ হতে পারে।

আমকে অকারণে ফলের রাজা বলা হয় না। গ্রীষ্ম না এলে আমের অপেক্ষা থেকে যায়। গ্রীষ্ম এলেই মানুষ আমের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কেউ কেউ প্রচুর পরিমাণে আম কিনে রেখে দেন, তারপর ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। একই সঙ্গে গরমের কারণে আম বেশি পাকবে বলে বাইরে রেখে দেন। এই ফলটি শুধু যে সুস্বাদু তাই নয়, এটি অত্যন্ত উপকারী । রসে পরিপূর্ণ থাকে বলে গরমের তৃষ্ণাও মেটায় এই ফল। আমের পানা, আম পোড়ার সরবতের মত খাবারগুলি মাঝেমধ্যে গরমকালে খেতে পারেন। তাতে শরীর ঠান্ডা হবে। গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।

কথায় বলে ফলের রাজা আম, স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। এই সময় বাজার থেকে লোকেরা শুধুমাত্র মিষ্টি আম আনার চেষ্টা করে, কিন্তু অনেক সময় তা হয় না এবং আম বিক্রেতাদের বলা কথামতো মিষ্টি থাকে না। যদিও সাধারণ মানুষ যে কোনো সময় এটি খায়, তবে এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। মানুষ প্রায়ই আমের সাথে এমন কিছু খায়, যা আমের সাথে খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং পেট খারাপ হতে পারে। এখানে আমের সাথে এইসব খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হল।

আম দিয়ে কি খাওয়া উচিত নয়

দই

আমের সাথে দই খাওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। দই ও আম একসাথে খেলে শরীর ভিতর থেকে গরম হয়। এমন অবস্থায় ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা শুরু হয় এবং একই সঙ্গে শরীরে টক্সিন বাড়তে পারে। এই বিবেচনায় দই ও আম একসঙ্গে খাওয়া এড়িয়ে চলা হয়।

ঠান্ডা খাবার

আমের সঙ্গে মরিচ-মসলাযুক্ত জিনিস না খাওয়াই ভালো। আম এবং মশলাদার খাবারের সংমিশ্রণে পেট খারাপ হতে পারে। এটি শুধুমাত্র ত্বকের সমস্যাকেই বাড়িয়ে তোলে না বরং পেটে ব্যথা এবং পেট খারাপ হতে পারে।

ঠান্ডা পানীয়

আমের সাথে কার্বনেটেড এবং মিষ্টিযুক্ত কোল্ড ড্রিংক না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ আম খাওয়ার পর এই ঠান্ডা পানীয় পান করলে পেট খারাপ হতে পারে। এ ছাড়া চিনির মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে সুগার স্পাইক হতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

জল খাওয়া

আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল পান করা থেকে বিরত থাকুন। আমের সঙ্গে জল পান করলে হজম প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হতে পারে। পাচক এনজাইম এর দ্বারা প্রভাবিত হয়। এছাড়া পেটে ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।