সংক্ষিপ্ত
দক্ষিণ ভারতে বিশেষ করে কেরালায় এই রোগের অনেক কেস আসছে। এটা সরকার ও প্রশাসনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেরালার এর্নাকুলাম জেলার একটি বেসরকারি স্কুলের ৬২ জন ছাত্র শিশু এই রোগের শিকার।
করোনাভাইরাসের প্রভাব সবে কমতেই নতুন এক রোগ আবার সমস্যা বাড়াচ্ছে। করোনাভাইরাসের মতো নোরাভাইরাসও আতঙ্ক তৈরি করেছে। দক্ষিণ ভারতে বিশেষ করে কেরালায় এই রোগের অনেক কেস আসছে। এটা সরকার ও প্রশাসনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেরালার এর্নাকুলাম জেলার একটি বেসরকারি স্কুলের ৬২ জন ছাত্র শিশু এই রোগের শিকার।
শিশুদের মধ্যে এই রোগ ছড়াচ্ছে-
জেলার সিনিয়র মেডিকেল অফিসার জানান, দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে এই রোগের লক্ষণ দেখে বর্তমানে দুটি নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। যেখানে উভয়ের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। শিশুদের পাশাপাশি তাদের পিতামাতার মধ্যে নোরাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছে। শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। আসুন জেনে নিই এর লক্ষণগুলো কী কী? আর তা থেকে বাঁচার উপায় ও চিকিৎসা।
'ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন'-এর মতে, সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৬৮ জন মানুষ নোরাভাইরাসে আক্রান্ত। আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ বছর থেকে কম বয়সী শিশু রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ২০০ মিলিয়ন। এই বিপজ্জনক ভাইরাসের কারণে প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার মাত্র শিশু।
ভিডিও পিকচার মোডে পিকচারে চলছে-
'আমেরিকা'স সেন্টার ফর ডিজিজ' অনুসারে, নোরাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে পেটের সমস্যা শুরু হয়। আপনি এটিকে পেট ফ্লু এবং পেটের বাগও বলতে পারেন। কিন্তু অনেক গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে এই পেটের ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আরও পড়ুন- হলুদ না সাদা কোন মাখন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত
আরও পড়ুন- পেঁয়াজের খোসা ডাস্টবিনে ফেলার দেন, জেনে নিন কত রকমভাবে কাজে লাগাতে পারে এটি
নোরোভাইরাস কী যা শিশুদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে-
আমেরিকার ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইনফেকশাস ডিজিজেস অনুসারে, অনেক ভাইরাসের একটি গ্রুপকে নোরোভাইরাস বলা হয়। এটি অত্যন্ত সংক্রামক। এই রোগটি একজন ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে এটি তার পেট এবং অন্ত্রকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। এই কারণে আক্রান্ত রোগীর প্রথমে গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের সমস্যা শুরু হয়। শুধুমাত্র আমেরিকাতেই প্রায় ২১ মিলিয়ন মানুষ এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত। জেনে অবাক হবেন, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে জরুরি বিভাগে ভর্তি আছেন প্রায় চার লাখ মানুষ।