সংক্ষিপ্ত

স্ক্রিনের আসক্তি, বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহার, উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা এবং স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। এই সবই হৃদরোগের অন্যতম কারণ।

শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই বুদ হয়ে থাকে মোবাইল ফোনে। নেই আউটডোর গেমস, মজা করা কিংবা গল্প করা। সারাদিন কাটছে ফোনে মুখ বুঁজে। প্রাপ্ত বয়স্করা তো বটেই সঙ্গে বাচ্চাদেরও সারা দিন কাটে মোবাইলে মুখ বুজে। আজকাল আবার বাচ্চাদের চুপ মা-বাবা হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেয়। জানেন কি এতে কী ভয়ঙ্কর ক্ষতি হচ্ছে বাচ্চার?

গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ স্ক্রিনের সময় বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে স্ক্রিনে চোখ রাখার ফলে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। একটি সমীক্ষায় মোট ৪৩১৮ জন তরুণ এবং মধ্যবয়সীদের মধ্যে পরীক্ষায় মিলেছে এমন ফল।

অনবরত স্ক্রল করার ফলে আমাজের মানসিক উদ্দীপনা ও রক্তচাপ তৈরি হয় যা মস্তিষ্ককে অতিরিক্ত সতর্ক করে। এর ফলে হৃদস্পন্দন ও অ্যাড্রিনালিনের মাত্রা বাড়ে। এটি শরীরে স্ট্রেসের মাত্রা বাড়ায়। এর থেকে দেখা দেয় হার্টের রোগ।

শোওয়ার আগে মাত্র ১ থেকে ২ ঘন্টা স্ক্রিনের ব্যবহার করার ফলে অনিদ্রা দেখা দেয়। মেলাটোনিন হরমোন আমাদের ঘুমে সহায়তা করে। কিন্তু স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো এই মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদনে বাধা দেয়। কম ঘুমের কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। এর থেকে দেখা দেয় হার্টের রোগ।

ফোন ঘাঁটার অভ্যেসের কারণে শারীরিক কার্যকলাপ না হওয়ায় স্থূলতা দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপের জন্য এটি আরও এক অন্যতম কারণ। এর থেকে দেখা দেয় হার্টের রোগ। হতে পারে হার্ট অ্যাটাক।

সে কারণে স্ক্রিনের সময় সীমিত করুন। অকারণ ফোন ঘাঁটার অভ্যেস ত্যাগ করুন। 

ঘুমানোর এক থেকে ২ ঘন্টা আগে কম্পিউটার, মোবাইল বা অন্য কোনও গ্যাজেট নিজের থেকে দূরে রাখবেন। এতে মিলবে উপকার।

শারীরিক কর্যকলাপে যুক্ত হোন। নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। অনেক বেশি সুস্থ থাবেন।

রাতে ঘুমানোর সময় ম্লান আলো ব্যবহার করুন এবং ইলেকট্রনিক গ্যাজেট বেডরুমের বাইরে রাখুন। এতে মিলবে উপকার।