সংক্ষিপ্ত

ডায়াবেটিসের রোগীদের মধু খাওয়া উচিত কি না তা, নিয়ে অনেকের মনে থাকে প্রশ্ন। একাধিক গুণে ভরপুর মধু আদৌ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কতটা উপকারী তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। জেনে নিন কী করবেন।

বর্তমানে ডায়াবেটিসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে। এই ধরনের রোগী এখন ঘরে ঘরে। টাইপ ১ হোক কিংবা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। একবার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে কোন খাবার খাওয়া উচিত কোন খাবার নয়, তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। অনেকে বলেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে পুরোপুরি মিষ্টি জাতীয় খাবার ত্যাগ করতে। তেমনই অনেকে বলে অল্প পরিমাণ মিষ্টি না খেলে সুগার ফল করতে পারে। আজ রইল বিশেষ কয়টি টিপস। ডায়াবেটিসের রোগীদের মধু খাওয়া উচিত কি না তা, নিয়ে অনেকের মনে থাকে প্রশ্ন। একাধিক গুণে ভরপুর মধু আদৌ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কতটা উপকারী তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। আজ টিপস রইল এই প্রসঙ্গে। জেনে নিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে মধু খাবেন কি না।

বিশেষজ্ঞের মতে, মধুতে আছে ২৫-৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ। আছে ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুকটোজ, আছে ০.৫ থেকে ৩ শতাংশ সুক্রোজ ও ৫ থেকে ১৩ ম্যালটোজ। অর্থাৎ এতে থাকা গ্লুকোজের পরিমাণ ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ। প্রতি গ্রাম মধুতে ১.৮৮ কিলোক্যালোরি শক্তি মেলে। এতে রয়েছে প্রোটিন। তেমনই মধুতে আছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি ব্যারটেরিয়াল উপাদান। আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি অ্যাডিপোনেক্টিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। যা হরমোনের প্রদাহ কমায়।

তবে, বিশেষজ্ঞের মতে একাধিক গুণ থাকা সত্ত্বেও এটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য তেমন উপকারী নয়। এটি অনেক ডায়াবেটিসের রোগীরা চিনির বদলে মধু খান। চায়ে মধু গিয়ে থাকেন। তবে, বিশেষজ্ঞের মত, মধু ডায়াবেটিস রোগীদের চিনির বিকল্প হতে পারে না। এতে রয়েছে গ্লুকোজ যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয় এই ধরনের রোগীদের জন্য। তবে, একাধিক গুণ থাকার কারণে চাইলে খুব অল্প পরিমাণ মধু খেতে পারেন ডায়াবেটিসের রোগীরা। এমনই জানান, নিউট্রিশনিস্ট প্রিসিলা মারিয়ান। তিনি পুনের ক্লাউডনাইন গ্রুপ অফ হসিপাটলের সঙ্গে যুক্ত।

তিনি বলেছেন, মৌমাছিরা উদ্ভিদের চিনিযুক্ত নিঃসরণ সংগ্রহ করে এবং পরিশোধন করে মধু তৈরি করে। গ্লুকোজের উচ্চ ঘনত্ব ও মনোস্যাকারাইডস ফ্রুক্টজ মধুকে মিষ্টি করে তোলে। সে কারণে এটি সকলের পছন্দের। তিনি জানান, ডায়াবেটিস রোগীদের সাবধানতার সঙ্গে মধু খেতে হবে। অধিক পরিমাণে মধু খেলে এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তাই সতর্ক হন। ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া মধু না খাওয়াই ভালো।

 

আরও পড়ুন

জলখাবারে খান লো কার্ব ও উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার, শরীর সুস্থ থাকার সঙ্গে কমবে বাড়তি মেদ

নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এই ছয়টি সুপার ফুডে-র মধ্যে একটি, মিলবে দীর্ঘায়ু, শরীর থাকবে সুস্থ

একটি মাত্র আলুর চিপসের জন্য প্রেমিক-প্রেমিকার ঝগড়া! গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ