দেখে নিন অ্যাডিনোভাইরাস থেকে বাঁচতে বাচ্চার কী কী খাওয়াবেন, রইল বিশেষ তালিকা
- FB
- TW
- Linkdin
রোজ পর্যাপ্ত জল পান করা দরকার। বাচ্চাকে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ গ্লাস জলে জল পান করান। এতে শরীর থাকবে হাইড্রেটেড। শরীরে জলের অভাব হলে যে কোনও রোগ সহজে বাসা বাঁধতে পারে। আজ জল খাওয়ানোর আগে তা জীবাণু মুক্ত কি না নিশ্চিত করে নিন। ফল ফুটিয়ে খাওয়ানো বাচ্চার জন্য উপকারী।
বাচ্চাকে ডাবের জল খাওয়াতে পারেন। এটি পটাশিয়াম, ও অন্যান্য খনিজ পূর্ণ। এটি শরীর হাইড্রেট করে। পেট ঠান্ডা রাখে সঙ্গে যে কোনও জীবাণু থেকে রক্ষা করে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। রোজ বাচ্চাকে ১ গ্লাস করে ডাবের জল খাওয়াতে পারেন। এটি স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে।
বাচ্চাকে নিমপাতা ও উচ্ছে খাওয়ান। এমন খাবার জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে। বাচ্চাকে রোজ নিমপাতা ও উচ্ছে খাওয়ান। এতে অ্যাডিনোভাইরাস তো বটেই যে কোনও রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান বাচ্চাকে। শরীরে পুষ্টির অভাব হলে যে কোনও ভাইরাস সহজে থাবা বসাতে পারে। বাচ্চাকে রোজ ডিম, মাছ, মাংস-র মতো খাবার খাওয়ান। এতে পুষ্টির জোগান ঘটবে। এছাড়া মুসুর ডাল, সয়াবিন খাওয়াতে পারেন। এটিও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
অ্যাডিনোভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে হলুদ দুধ খাওয়ানো যায়। এই সময় বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা দরকার। একটি কাঁচা হলুদের টুকরো বেটে নিন। তা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হবে উন্নত। বাচ্চা থাকবে রোগ মুক্ত।
বাচ্চাকে এই সময় ভিটামিন সি, এ, ই-তে পূর্ণ খাবার খাওয়ান। রোজ আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, অ্যাভোকাডো, কিউই-র মতো ফল খাওয়াতে পারেন। সম্ভব হবে ফলের জুস খাওয়ান। এতে ফলের সম্পূর্ণ পুষ্টি শরীরে প্রবেশ করবে। তবে ভুলেও বাচ্চাকে প্যাকেটজাত ফলের জুস খাওয়াবেন না। এটি শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি করে থাকে।
রসুন খাওয়াতে পারেন বাচ্চাকে। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি বায়োটিক উপাদান আছে। রোজ ১ কোয়া করে রসুন খেলে মিলবে উপকার। বাচ্চা থেকে বড় সকলে খেতে পারেন রসুন। এই সময় নানান জীবাণু সংক্রমণ দেখা দেয়। এর থেকে মুক্তি পেতে রসুন খেতে পারেন।
দই খাওয়া বাচ্চাদের জন্য উপকারী। এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তেমনই লিভারের জন্য ভালো। রোজ বাচ্চাকে ১ বাটি করে দই খাওয়াতে পারেন। তবে, আগে চিকিৎসকের পরমার্শ নিন। অনেক সময় এর থেকে ঠান্ডা লাগার সমস্যা দেখা দেয়। তাই সঠিক খাবার খাওয়ান বাচ্চাকে।
এই সময় বাচ্চার কোনও রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে চিকিৎসকরে পরামর্শ নিন। জ্বর, গলা ব্যথা, ফুসফুসে সংক্রমণ, চোখ লাল হওয়া, ডায়েরিয়া, বমি, পেট ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হলে বুঝতে হবে সে ভাইরাসে আক্রান্ত। তাই সময় থাকতে চিকিৎসা শুরু করুন। এতে বাচ্চার সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।
১০ বছরের কম বয়সী বাচ্চারা মূলত আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগ। শীত থেকে বসন্ত পর্যন্ত সময় নানান জীবাণু সংক্রমণ দেখা দেয়। এবছর ক্রমে প্রসার লাভ করছে অ্যাডিনোভাইরাস। বাচ্চকে সুস্থ রাখতে তাকে জীবাণু থেকে রক্ষা করুন। এই সময় বাচ্চাকে মাস্ক পরান। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। হাত জীবাণু মুক্ত করে খাবার খাওয়ান। প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকবে মিলবে উপকার।