সংক্ষিপ্ত

পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS-এ আক্রান্ত হলে বন্ধ্যাত্ব, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞের মতে, এই রোগ মেজাজ ও আত্মবিশ্বাসের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। জেনে নিন PCOS রোগের সঙ্গে মানসিক অস্থিরতার যোগসূত্র কোথায়।

বর্তমানে অধিকাংশ মেয়ে কোনও না কোনও গাইনেলজিক্যাল সমস্যায় ভুগছেন। এই তালিকার শীর্ষে আছে PCOS। পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS হল এটি হরমোনজনিত রোগ। অনিয়মিত পিরিয়ডস, মুখে অধিক রোম, ওজন বৃদ্ধি ও ব্রণ হল এই রোগের লক্ষণ। তেমনই একবার পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS-এ আক্রান্ত হলে বন্ধ্যাত্ব, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞের মতে, এই রোগ মেজাজ ও আত্মবিশ্বাসের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এই রোগে আক্রান্ত হলে নিয়মিত মেজাজ পরিবর্তন হতে থাকে। জেনে নিন পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS রোগের সঙ্গে মানসিক অস্থিরতার যোগসূত্র কোথায়।

হরমোনের ভারসাম্যনষ্ট হয় এই রোগে। এর কারণে বিষণ্ণতা, বিরক্তি ও মেজাজ পরিবর্তন বয়। তেমনই হরমোন ইস্ট্রোজেন যথেষ্ঠ পরিমাণে উৎপাদন করতে শরীরের অক্ষম করে দেয়।

শুষ্ক মুখ, ঘাম, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইন, হাইপারভেন্টিলেশন, অতিরিক্ত উদ্বেগ, অধিক সংবেদনশীলতা, অতিরিক্তি আত্ম পরীক্ষা, অস্থিরতার কারণ হতে পারে এই রোগ।

স্ট্রেসের সমস্যা দেখা দিতে পারে পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS রোগের জন্য। এই সমস্যা দেখা দিলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর কারণে দেখা দেয় স্ট্রেস বা মানসিক চাপ।

ঘুমের ব্যঘাত দেখা দেয় পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS-র কারণে। এই পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS রোগে আক্রান্ত হলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। এর কারণে ঘুমে ব্যাঘাত বতে পারে।

তেমনই হতাশা ও উদ্বেগের কারণ হতে পারে পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS। এমন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীরা যে ধরনের ওষুধ খান তাতে অনেক সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। এর কারণে মুড সুইং-র সমস্যা দেখা দেয়।

তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। সঙ্গে রোজ ব্যায়াম করুন। বাড়তি মেদ ঝড়িয়ে ফেলুন। তা না হলে সমস্যা বাড়তে থাকবে। সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মেডিটেশন করতে পারেন। এতে মনের অস্থিরতা দূর হবে। তবে, যেহেতু এটি হরমোন জনিত সমস্যা, তাই সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঠিক উপায় রোগ রাখুন নিয়ন্ত্রণে। তার এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এতে দ্রুত রোগ থেকে মিলবে মুক্তি।

 

আরও পড়ুন

সুস্থ থাকতে ত্যাগ করুন এই কয়টি ভুল ধারণা, জেনে নিন কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত কোন ধরনের নয়

জলখাবারে প্রায়শই থাকছে মেয়োনিজ? জেনে নিন অজান্তে নিজের কত বড় বিপদ ডাকছেন

Beauty Tips: তিন টোটকা করবে কামাল, ত্বক উজ্জ্বল করুন এই তিন সহজ পদ্ধতি মেনে