সংক্ষিপ্ত

হাঁচি, কাশি আর সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, অনেকের আবার খাবারে অরুচি। এজাতীয় সমস্যা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এটি ইনফ্লুয়েজ্ঞারই একটি সাব ভাইরাস H3N2 কারণে হচ্ছে।

 

ক্রমাগত কাশি সঙ্গে কখনও কখনও জ্বর- এজাতীয় রোগ গত দুই থেকে তিন মাস ধরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে। এটি ইনফ্লুয়ে ঞ্জার একটি সাবটাইপ H3N2 কারণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইসিএমআর -এর বিশেষজ্ঞরা। H3N2 এই ভাইরাসটি গত দুই থেকে তিন মাস ধরে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে এই দেশে। ইনফ্লুয়েজ্ঞার অন্যান্য সাবটাইপ ভাইরাসের থেকে এটি অনেক বেশি শক্তিশালী। আর সেই কারণে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেশি। দাবি করেছেন আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীরা। গবেষণের প্রাথমিক রিপোর্টও তারা প্রকাশ করেছেন । বলেছেন ভাইরাসটি মূলত শ্বাসযন্ত্রকেই আক্রমণ করে। ডায়াহনস্টিক ল্যাবরেটরিজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছেন এই ভাইরাসের কারণে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেখা দিচ্ছে।

এজাতীয় সমস্যা হলে কী কী করণীয় আর কী কী করণীয় নয় তারও একটি তালিকায় দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথমেই তাঁরা বলেছেন-

ইন্ডিয়ার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সারা দেশের চিকিৎসকদের ও সাধারণ মানুষকে সর্দি, কাশি হলে ও সঙ্গে সঙ্গে বমি বমি ভাব থাকতে নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে।

এজাতীয় সমস্যা চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য স্থায়ী হয়। এটিকে তাঁরা মৌসুমী জ্বর বা ঋতু বদলের জন্য হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন। তাই অযথা ভয় না পাওয়ার কথাও বলেছেন।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন জ্বর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সেরে যেতে পারে। কিন্তু কাশি তিন সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। জানিয়েছে আইএমএ-র অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের স্থায়ী কমিটি।

বায়ুদূষণের কারণে ভাইরাল অসুস্থতাগুলি বেড়েছে। এজাতীয় অসুখ সাধারণত ১৫ বছরের কমবয়সী ও ৫০এর বেশি বয়সীদের ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে। মূলত জ্বরের সঙ্গে শ্বাসযন্ত্র সংক্রমিত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টিবায়োটিক না দিয়ে শুধুমাত্র লক্ষণীয় চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে। আইএমএ একটি বিবৃতিতে বলেছে, 'এই মুহূর্তে লোকেরা অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও অ্যামোক্সিক্লাভ-এজাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক নিতে শুরু করে। তাতেও কাজ দ্রুত কাজ হলে বা না হলে তা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ না করলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রকৃত ব্যবহার জরুরি। যদি তা না করা হয় তাহলে পরবর্তীকালে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কাজ করবে না। ' অ্যামোক্সিসিলিন, নরফ্লক্সাসিন, ওপ্রোফ্লক্সাসিন, অফলক্সাসিন এবং লেভোফ্লক্সাসিন সবচেয়ে বেশি অপব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক। এগুলো ডায়রিয়া ও ইউটিআই-এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এতে বলা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন . তারা কোভিডের সময় Azithromycin এবং Ivermectin এর ব্যাপক ব্যবহার দেখেছেন। এগুলিও রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক নির্ধারণের সংক্রমণটি ব্যাকরেটিয়া জনিত কিনা তা নির্ণয় করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুনঃ

একটি মাত্র আলুর চিপসের জন্য প্রেমিক-প্রেমিকার ঝগড়া! গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

Saturday vastu tips: শনিবার ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না, শনির কোপ থেকে বাঁচার পাঁচটি উপায়

রাহুল গান্ধীর কেমব্রিজ মন্তব্য: পেগাসাস থেকে কাশ্মীর- হেমন্ত বিশ্বশর্মার 'প্রশ্নবাণ'