সংক্ষিপ্ত
আপেলে আছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলি সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। বেশিরভাগ মানুষ ত্বকে আপেল খান।
প্রতিদিন একটি আপেল খেলে রোগ থেকে দূরে থাকে মানুষ। এই তথ্য নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আপেল পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। প্রশ্ন হল, আপেল কি খোসা সহ খাওয়া উচিত? নাকি খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত? চলুন জেনে নিই উত্তর-
আপেলে আছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলি সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। বেশিরভাগ মানুষ ত্বকে আপেল খান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে আপেল খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কারণ গবেষণা অনুযায়ী, আপেলের খোসাতেও ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকে। আপেল এবং এর খোসায় থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কিন্তু সমস্যা হল, বর্তমানে উৎপাদন বাড়াতে আপেল বাগানে প্রচুর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, আপেলগুলিকে একটি চকচকে চেহারা দেওয়ার জন্য প্রায়শই একটি মোমের মতো পদার্থ দিয়ে লেপা হয়।
এই মোম লাগালে আপেলের ত্বকের দাগ ঢেকে যাবে। সেক্ষেত্রে খোসা ছাড়াই এ ধরনের রাসায়নিক শরীরে প্রবেশের আশঙ্কা থাকে। তাহলে উপায় কি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবস্থায় খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। আর যদি খোসাসহ আপেল খেতেই হয়, তাহলে মোমের বাইরের স্তর অপসারণে মনোযোগ দিতে হবে। আপেল কুসুম গরম জলে ডুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর ভালো করে ঘষে নিন।
চকচকে ভাব চলে গেলে বুঝবেন আপেলের ওপরের মোমের স্তর সরে গেছে। আপেলের গায়ে কোনো দাগ থাকলে ছুরি দিয়ে কেটে ফেলুন।
আপেল ধমনীর প্লাক তৈরির ঝুঁকি কমাতে পারে। ধমনীতে প্লাকের কারণে করোনারি ধমনী রোগ হতে পারে। এই সমস্যা সমাধান হয় আপেলের গুণে। তেমনই আপেলের ত্বকে রয়েছে ফেনোলিক নামক যৌগ। যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়। এতে শরীর থাকবে সুস্থ।