রাতে জানলার পর্দা না দিয়ে ঘুমালে পরে হতে পারে হৃদপিন্ডের অসুখ। নিজের হৃদপিণ্ড কে কি করে সুস্থ রাখবেন এবং কিভাবে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাবেন রইল তার কিছু উপদেশ।

রাতে ঘুম ভালো হয় তো ? সারাদিনের ধকলের পরে আমাদের রাতের ঘুমটা খুবই নিশ্চিন্ত ভাবে ঘুমানো এবং ঘুমের যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে আমরা অনেকেই ওয়াকিবহাল হই না। কারণ সারাদিনের অফিসের চিন্তা সংসারের চিন্তা জীবনযাপনের চিন্তা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই কম বেশি ওই রাতের নিশ্চিন্ত মনেই বেশি ঘুরপাক করে।রাতে ঘুম ভাল না হলে পরের দিনটাই মাটি হয়ে যায়। তাই গভীর ঘুমের জন্য উপযুক্ত পরিবেশের প্রয়োজন। রাতে জানলার পর্দা সরিয়ে অনেকেই ঘুমোন। ঘরের আলো নেভানো থাকে। বাইরে থেকে হালকা আলো ঘর মায়াবী করে তোলে। ঘুমোতেও সুবিধা হয়। তবে এই অভ্যাসে শরীরের ক্ষতিও হতে পারে জানেন কি সেটা। এর পিছনে কি কারণ তা উঠে এসেছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় পাওয়া কিছু তথ্য দ্বারা।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডে এই বিষয়ে একটি গবেষণা করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে ঘুম সম্পর্কিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, রাতের বেলা ঘুমোনোর সময় যদি জানলার পর্দা না টেনে ঘুমানো হয় তাহলে সে সময়ে হার্টের স্বাস্থ্যের অনেকাংশে অবনতি ঘটে। এই গবেষণায় ঘুমের সঙ্গে অন্ধকারের যোগসূত্রকেও বিস্তারিতভাবে ব্যখ্যা করা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক আলোর উপর মানুশের স্লিপ-ওয়েক সাইক্‌ল নির্ভর করে। অর্থাৎ সূর্যাস্তের পরে যখন আলো কমে আসে তখন ঘুম পায়। আবার সকালে সূর্যালোকে ঘুম ভাঙে। কিন্তু রাতে ঘুমের সময়ে কৃত্রিম ভাবে যদি আলো দেহের উপরে পরে তাহলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। শরীরের অভ্যন্তরীণ ‘ঘড়ি’র মত যে নিয়োম বিধি তার কাজে বিঘ্ন ঘটলে রক্তে শর্করা, রক্ত চাপ, ভিটামিন সহ একাধিক বিষয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের অনেক অবনতি ঘটতে পারে। কমতে পারে হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা।

মানুষের স্বাভাবিক নিদ্রার উপর এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘মেড আর্কাইভ’ জার্নালে। আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক যৌথ ভাবে এই গবেষণাটি করেছেন।

নিদ্রা সংক্রান্ত এই বিশেষ তথ্য গুলো গবেষকেরা ৮৮ হাজার ৯০৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তারপর করেছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকেই ডিজিটাল সেন্সর ব্যবহার করেছিলেন। যাঁদের ক্ষেত্রে রাতে দেহে আলো পড়ে, বাকিদের তুলনায় তাঁদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক, করোনারি আর্টারি ডিজ়ি়জের ঝুঁকি বেড়েছে। গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতির হার পুরুষদের তুলনায় বেশি।