সংক্ষিপ্ত

ধূমপান ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। যুক্তরাজ্যে আগামী পাঁচ বছরে ৩ লক্ষ ক্যান্সার রোগীর আশঙ্কা। ভারতে প্রতি বছর ১০ লক্ষ মৃত্যু হয় ধূমপানের কারণে। ধূমপান দাঁতের স্বাস্থ্য, ফুসফুস, হাড় এবং চোখের উপরও প্রভাব ফেলে।

ধূমপান এবং তামাকু সেবন জীবনঘাতী, এটা সকলেরই জানা। কিন্তু ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে-তে হওয়া এক গবেষণায় আপনি অবাক হবেন। গবেষণা অনুসারে, আগামী পাঁচ বছরে ধূমপানের কারণে যুক্তরাজ্যে ৩ লক্ষ ক্যান্সার রোগী হতে পারে। ইউকে চ্যারিটির মতে, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন প্রায় ১৬০ টি ক্যান্সারের ঘটনা ধূমপানের সাথে সম্পর্কিত ছিল। চ্যারিটি কর্তৃক প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে ২০২৯ সাল পর্যন্ত ক্যান্সার সম্পর্কিত ঘটনাগুলির তথ্য দেওয়া হয়েছে। তামাকু সেবনের কারণে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু হয়। ধূমপানের প্রভাবের গুরুত্ব কেউই উপেক্ষা করতে পারে না।

ধূমপানের কারণে ভারতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মৃত্যু

ভারতে ধূমপানের পরিসংখ্যান হতাশাজনক। প্রতি বছর তামাকুজাত দ্রব্য সেবনের কারণে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। চীনের পর ভারত এমন একটি দেশ যেখানে ধূমপায়ীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। শুধুমাত্র ধূমপানের কারণেই ১০ লক্ষ বয়স্ক মানুষের মৃত্যু হয় ভারতে।

কম বয়সেই ধূমপানের ভয়াবহ ক্ষতি

ধূমপানের কারণে দাঁত খারাপ হয়: ধূমপানের ফলে কম বয়সীদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। ধূমপানের ফলে শুধু দাঁত এবং মাড়িই খারাপ হয় না, ব্যক্তির পছন্দের খাবারের স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতার উপরও প্রভাব ফেলে।

ফুসফুসে ছড়ায় সংক্রমণ: টার এবং হাইড্রোজেন সায়ানাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস ফুসফুস নষ্ট করে। এই গ্যাসের কারণে ফুসফুসে দ্রুত সংক্রমণ হয় এবং কাশি হয়। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে ব্যক্তি ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।

ধূমপানের কারণে হাড়ের উপর প্রভাব: ধূমপানের ফলে শরীরে নিকোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে হাড় তৈরির কোষের উৎপাদনও কমে যায়। ব্যক্তির হাড় ধীরে ধীরে পাতলা এবং ধ্বংস হতে শুরু করে।

চোখের উপর খারাপ প্রভাব: সিগারেটের রাসায়নিকের কারণে চোখের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। ধূমপানের ফলে ছানির ঝুঁকি বেড়ে যায়।