সংক্ষিপ্ত

স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার রিপোর্ট বলছে যে, বিগত কয়েক দশক ধরে ভারতে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঘটনা। কেন এমন হচ্ছে, তা নিয়ে মতামত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার হল এমন এক ধরনের কর্কট রোগ, যা পাকস্থলীর আস্তরণের কোষে শুরু হয়। এটি অনেক বছর ধরে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। প্রাথমিক লক্ষণগুলি অস্পষ্ট হতে পারে বা সহজেই লক্ষণীয় নাও হতে পারে। ক্যান্সার বাড়তে বাড়তে এটি পাকস্থলীর অন্যান্য অংশ এবং নিকটবর্তী অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটা অন্যান্য অঙ্গগুলিতেও মেটাস্টেসাইজ করতে পারে। স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার রিপোর্ট বলছে যে, বিগত কয়েক দশক ধরে ভারতে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঘটনা। কেন এমন হচ্ছে, তা নিয়ে মতামত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। 


কেন পাকস্থলীর ক্যান্সার ক্রমশ বাড়ছে?

বিশেষজ্ঞদের মত হল, ভারতে পাকস্থলীর ক্যান্সারের বৃদ্ধির একটা প্রধান কারণ হল অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, তার সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খাওয়া। এছাড়াও রয়েছে জিনগত প্রবণতা। মশলাদার বা সংরক্ষিত খাবার বেশি খাওয়া, আর অ্যালকোহল গ্রহণের পরিমাণও পাকস্থলীর ক্যান্সার ভয়ঙ্কর মাত্রায় বাড়িয়ে তুলছে। 

-

গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সার্জারির চিকিৎসক পুনীত ধর বলেছেন,  “পেটের ক্যান্সার প্রধানত ৫০ বছর বয়সের পরে মানুষকে প্রভাবিত করে। এটা নির্ণয় করতে করতে মানুষের প্রায় ৬০ বছর বয়স হয়ে যায়। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা গেছে। পুরুষরা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে ধূমপান করেন, অ্যালকোহল সেবন করেন এবং জীবনযাপনে অনিয়ম করে থাকেন বলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।” 


চিকিৎসকের মতে, খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত মশলাদার, নোনতা বা সংরক্ষিত খাবার থাকলেই পাকস্থলীর ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়া হরমোনের পার্থক্য এবং জেনেটিক কারণগুলিও একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। 

-

পেটের ক্যান্সারের নিরাময় কীভাবে সম্ভব?

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পাকস্থলীর ক্যান্সারের প্রকোপ রোধ করার জন্য সংরক্ষিত খাবার পরিহার করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলতে বলছেন। পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও উন্নতি করতে হবে। নিয়ম মেনে প্রত্যেকদিন খাবার খেতে হবে। 


তাজা ফল ও শাকসবজি সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষিত খাবার কমিয়ে আনা, ধূমপান ত্যাগ করা, অ্যালকোহল গ্রহণ কমানো এবং নিয়মিত মেডিক্যাল চেক-আপের ওপর জোর দিতে হবে। যেসব মানুষদের পারিবারিক স্বাস্থ্যের ইতিহাসে পাকস্থলির ক্যান্সার রয়েছে বা উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের বিশেষ করে সাবধান হতে হবে।