গরম আসছে, এই সময়ে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন এই ৭ খাবার, নইলে অসুস্থতা অবধারিত
গ্রীষ্মকালে শরীরকে ঠান্ডা এবং হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার থেকে দূরে থাকা ভালো কারণ এগুলি এই ঋতুতে শরীরের জন্য উপকারী নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক গ্রীষ্মে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

গ্রীষ্মকালে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই সময়ে স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্রীষ্মে কিছু খাবার ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। এর ফলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। অনেক সময় হাসপাতালে যেতে হতে পারে। এই ঋতুতে সুস্থ থাকার জন্য কিছু খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী..
লবণ কম খান
গ্রীষ্মকালে লবণ কম খান! বেশি খেলে উচ্চ রক্তচাপ, ফোলাভাব, হৃদরোগ হতে পারে। হেলথ লাইন অনুসারে, গ্রীষ্মে লবণ গ্রহণ কমান। লবণ আমাদের খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে। তবে বেশি লবণ খেলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ, ফোলাভাব, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
চা, কফি ছেড়ে দিন
চা, কফি পানকারীরা গ্রীষ্মেও এগুলি ছাড়তে পারেন না। এক-দুই কাপ পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু কেউ কেউ দিনে অনেকবার পান করেন। চা, কফি গরম প্রকৃতির। এটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। চা, কফির পরিবর্তে লেবুর শরবত, টক দই পান করুন। গরম করলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
আচার থেকে দূরে থাকুন
গ্রীষ্মকালে আচার খাওয়া উচিত নয়। এগুলি খেলে শরীরে জল জমে ফোলাভাব দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, বদহজমও হয়। আলসারকে এটি আরও তীব্র করে তোলে।
ঝাল খাবার খাওয়া উচিত নয়
গ্রীষ্মকালে ঝাল খাবার খাওয়া উচিত নয়। ঝালে থাকা ক্যাপসাইসিন শরীরে পিত্ত দোষ বাড়ায়। এর ফলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়। প্রচুর ঘাম হয়, ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
জাঙ্ক ফুড, ভাজাভুজি নয়
জাঙ্ক ফুড, ভাজাভুজি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। শীতকালে খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু গ্রীষ্মকালে এগুলি আপনাকে অসুস্থ করে তুলবে। সমোসা, বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ইত্যাদি ডিহাইড্রেশনের কারণ হয়। এগুলি হজম করা কঠিন।
গ্রিল করা মাংস নয়
গ্রীষ্মকালে গ্রিল করা মাংস খাওয়া উচিত নয়। বাইরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। গ্রিল করা মাংস খেলে শরীরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায়। এর ফলে ডিহাইড্রেশন হয়।
ডার্ক চকলেট নয়
গ্রীষ্মকালে ডার্ক চকলেট খাওয়া উচিত নয় বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এতে ক্যাফেইন বেশি থাকে। বেশি খেলে ডায়রিয়া, বিরক্তি, বুক ধড়ফড় ইত্যাদি হতে পারে। ডিহাইড্রেশনও হতে পারে।