সংক্ষিপ্ত

বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের জন্য প্রতিদিন হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন, এর জন্য, পনির, দই, দুধ সবারই খাওয়া উচিত, কারণ এর মধ্যে ক্যালসিয়াম সবচেয়ে বেশি।

সুস্থ থাকার জন্য একটি সুষম খাদ্য এবং প্রতিদিনের ব্যায়াম অপরিহার্য। এর যত্ন নিলে স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। সুষম খাদ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। এসব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতির কারণে অনেক রোগের জন্ম হয়। এই রোগগুলির মধ্যে একটি হল অস্টিওপোরোসিস। অস্টিওপোরোসিস হাড় সম্পর্কিত একটি রোগ। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে এই রোগ হয়। এ জন্য প্রতিদিনের খাবারে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি যুক্ত জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনিও যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে চান, তাহলে প্রতিদিন এই জিনিসগুলি খান।

দুধে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে, অর্থাৎ এটি ক্যালসিয়ামের দৈনিক চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করে। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের জন্য প্রতিদিন হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন, এর জন্য, পনির, দই, দুধ সবারই খাওয়া উচিত, কারণ এর মধ্যে ক্যালসিয়াম সবচেয়ে বেশি। চলুন জেনে নেওয়া যাক আর কি কি খাবার রয়েছে-

গুড় খাওয়া

গুড়কে সুপার ফুড বলা হয়। এতে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ডায়েট চার্ট অনুসারে, ১ গ্রাম গুড়ে ১৬.৩৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এ জন্য ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে বেশি করে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

দুধ পান করা

হাড় মজবুত করতে চিকিৎসকরা সব সময় দুধ পান করার পরামর্শ দেন। ক্যালসিয়ামের অভাব হাড়কে দুর্বল করে দেয়। এর জন্য প্রতিদিন দুধ পান করুন। আপনি চাইলে দুধের সাথে ড্রাই ফ্রুট মিশিয়ে খেতে পারেন। বিশেষ করে, প্রতিদিন সকালে জলখাবারের সময় এবং রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ পান করুন।

অঙ্কুরিত মুগ খান

অঙ্কুরিত মুগে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এটি খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় না। সেই সঙ্গে অঙ্কুরিত মুগ খাওয়া ক্রমবর্ধমান ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি শরীরকে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি সরবরাহ করে।

রাগির উপকারিতা

রাগিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ডায়েট চার্ট অনুসারে, ১০০ গ্রাম রাগিতে ৩৬৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে খাদ্যতালিকায় রাগি অন্তর্ভুক্ত করুন। এ ছাড়া রাগিতে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি বিভিন্ন ধরনের রোগে উপকারী।