দেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, বেশির ভাগই খুব প্রিয় জাঙ্ক ফুড কিছু খাবার থেকেই কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। 

চিকেন নাগেট্স কে না পছন্দ করেন। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেই এটা দেখলে লোভ সামলাতে পারেন না। কিনে এনে বাড়িতে ভেজে খেলেই হল। তেমনই ইনস্ট্যান্ট নুড্‌লস। এমন খাবারের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। ‘রেডি-টু ইট’ এমন কিছু খাবার আছে, যা প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই মাসে একবার হলেও আসে। এখনকার কর্মব্যস্ততায় রান্নাঘরে বেশি সময় নষ্ট করতে চান না কেউই। তাই এমন খাবারের চাহিদা বাড়ছে। তা ছাড়া পিৎজ়া, বার্গার বা সালামির মতো খাবার তো রয়েছেই। এই ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার যাকে বলা হয় ‘আলট্রা-প্রসেসড ফুড’, তা যেমন লিভারের জন্য ক্ষতিকর, তেমনই এ সব খাবার থেকে বাড়ছে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকিও।

কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার আছে যেমন ভাজা খাবার, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, এবং জাঙ্ক ফুড, প্রায়শই আমাদের বাড়িতে খাওয়া হয় এবং এগুলি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই ধরনের খাবারে থাকা অতিরিক্ত লবণ, চর্বি এবং রাসায়নিক উপাদানগুলি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

* যে খাবারগুলো ঝুঁকি বাড়াতে পারে প্রক্রিয়াজাত মাংস (Processed Meats): সসেজ, সালামি এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংস কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

* ভাজা খাবার (Fried Foods): অতিরিক্ত ভাজা খাবার, যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, এবং অন্যান্য ভাজা স্ন্যাকস, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

* ইনস্ট্যান্ট নুডলস (Instant Noodles): জনপ্রিয় এই খাবারটিতে সোডিয়াম এবং অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

* জাঙ্ক ফুড (Junk Food): বার্গার, পিৎজা, এবং অন্যান্য জাঙ্ক ফুডে চর্বি, লবণ এবং চিনি বেশি থাকে, যা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

* মিষ্টি ও আইসক্রিম (Sweets and Ice Cream): অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, যেমন মিষ্টি এবং আইসক্রিম, স্থূলতার কারণ হতে পারে, যা কোলন ক্যান্সারের একটি অন্যতম প্রধান কারণ।

* লাল মাংস (Red Meat): অতিরিক্ত পরিমাণে লাল মাংস খাওয়াও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

* অ্যালকোহল (Alcohol): অতিরিক্ত মদ্যপান কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ঝুঁকি কমাতে করণীয় :

* প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন: প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজা খাবার এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

* সুষম খাবার খান: তাজা ফল, সবজি, গোটা শস্য (যেমন বার্লি, বাদামী চাল) এবং ডাল-এর মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

* ফাইবারযুক্ত খাবার খান: উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন মটরশুঁটি এবং ডাল, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

* পর্যাপ্ত জল পান করুন: পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে কোলনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

* নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

* স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন: সুস্থ ও সুষম জীবনযাপন, যেমন ধূমপান বর্জন এবং পরিমিত মদ্যপান করা, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

* চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।