সংক্ষিপ্ত
রক্তে হিমগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলেই তাকে বলা হয় রক্তশূণ্যতা। তাই আপনার শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে তা বুঝবেন কী করে। কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে।
শরীরে আয়রনের অভাবের প্রধান কারন হল অপুষ্টি। খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে আয়রনের অভাব থাকলে, মহিলারা আয়রনের অভাবে ভোগেন। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রাখতে আয়রন খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। সুস্থ্য থাকতে আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপাদানের প্রয়োজন। রক্তে হিমগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলেই তাকে বলা হয় রক্তশূণ্যতা। তাই আপনার শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে তা বুঝবেন কী করে। কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেগুলি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে।
১) ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া- রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে ত্বক ফ্যাকাশে দেখায়।
২) চোখের ভেতরের অংশ যদি সাদা হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।
৩) অতিরিক্ত চুল পড়ে যাওয়া- অনেক কারনেই অতিরিক্ত চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়।
৪) তবে সারাদিনে যদি বেশি মাত্রায় চুল ওঠে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রক্তাল্পতার কারনে অতিরিক্ত চুল উঠে যায়।
৫) ক্লান্তিবোধ- একটু কাজ করেই যদি হাঁপিয়ে যান বা ক্লান্তি বোধ হয়, তবে বুঝতে হবে শরীরে আয়রণের অভাব ঘটেছে।
৬) তবে অন্য অনেক কারনেও শরীরে ক্লান্তি বোধ দেখা দেয়। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন- ওজন কমানো থেকে ডায়াবেটিস, যে কোনও সমস্যাতেই পাতে রাখতে পারেন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই আলু
আরও পড়ুন- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩ টে ভেজানো খেজুর, ১৩ টি জটিল সমস্যা রাখবে নিয়ন্ত্রণে
আরও পড়ুন- যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে হার্টের সমস্যা, এই বাদামের যে এত উপকারিতা থাকতে পারে তা জানলেই অবাক হবেন
৭) স্নায়বিক অস্থিরতা- আয়রন ডেফিসিয়েনসি বা রক্তাল্পতাজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে স্নায়বিক অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়।
৮) এই সমস্যার ফলে ব্যক্তি খুব সহজেই অস্থির হয়ে পড়ে ও ধৈর্য হারিয়ে উত্তেজিত হয়ে পরে।
৯) ঘন ঘন মাথা ব্যথা- যদি আপনি প্রায়ই মাথা ব্যাথায় ভুগে থাকেন। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মাথায় যখন যথেষ্ঠ পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছয় না তখনই মাথা ব্যথা বা মাইগ্রেনের ব্যথা দেখা দেয়।
১০) আর এই সমস্যাগুলি আয়রনের অভাবের লক্ষণ বা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রার ঘাটতির কারণে হতে পারে। তাই ক্রমাগত এই সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।