সংক্ষিপ্ত
আমাদের কিডনি শরীরে বিশুদ্ধ রক্ত প্রবাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সময়মতো এর উপসর্গ চিনতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নিই কিডনি খারাপ হলে আমাদের শরীরে কীভাবে সতর্ক সংকেত দেয়।
কিডনির কার্যকারিতায় সামান্য সমস্যা হলেই এর প্রভাব আমাদের শরীরে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। কিডনি ইনফেকশন এবং কিডনি ফেইলিওরের মতো সমস্যাও জীবন-মরনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিডনি আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, এর সাহায্যে রক্তে উপস্থিত ময়লা যেমন ফিল্টার হয়, তেমনি আমাদের কিডনি শরীরে বিশুদ্ধ রক্ত প্রবাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সময়মতো এর উপসর্গ চিনতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নিই কিডনি খারাপ হলে আমাদের শরীরে কীভাবে সতর্ক সংকেত দেয়।
প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন- কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বেশি প্রোটিন বের হতে শুরু করে। এ কারণে প্রস্রাবের রং হলুদ বা বাদামি হতে শুরু করে, অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাব থেকে ফেনা ও রক্তও বের হতে থাকে।
শ্বাসকষ্ট- যদি আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন ঘন হয় তবে এটি কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে কারণ এই ধরনের পরিস্থিতিতে রেথ্রোপয়েটিন নামক হরমোনের উৎপাদন ব্যাহত হয়, এই হরমোনগুলি আরবিসি গঠনে সাহায্য করে।
চুলকানি- যখন কিডনির সমস্যার কারণে টক্সিন বের হতে পারে না, তখন এই ময়লা রক্তে জমতে শুরু করে এবং এটি ত্বকে চুলকানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মুখ এবং পা ফোলা- কিডনি যখন আমাদের শরীর থেকে সোডিয়াম অপসারণ করতে অক্ষম হয়, তখন তা শরীরেই জমতে শুরু করে। এর কারণে পা ও মুখে ফোলাভাব শুরু হয়।
পেশী ক্র্যাম্প- কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, পায়ে এবং পেশীতে ক্র্যাম্প শুরু হয়। কারণ সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম বা অন্যান্য ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।
ক্লান্তি বোধ- কিডনির ফিল্টার প্রক্রিয়ায় বাধার কারণে, শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে। যার কারণে দুর্বলতা আসতে শুরু করে এবং ক্লান্তিও অনুভূত হতে থাকে।
ঘুমের অভাব- কিডনির কার্যকারিতার ব্যাঘাতের প্রভাব আমাদের ঘুমের উপর পড়ে, যার কারণে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। সেজন্য সময়মতো সতর্ক হওয়া জরুরি।