সংক্ষিপ্ত

বছরের শেষের দিকে এই দেশে বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনার পাশাপাশি নিউমোনিয়ার আতঙ্ক বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।

 

করোনাভাইরাসের মহামারির পর থেকেই এই সাধারণ মানুষ যে কোনও সাধারণ রোগ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে। মহামারি-কাল কাটানোর পরই একটি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে ২০২৩ সালে এই দেশে একাধিক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তার সঙ্গে রয়েছে করোনার উদ্বেগও। বছরের শেষের দিকে এই দেশে বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনার পাশাপাশি নিউমোনিয়ার আতঙ্ক বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আসুন বছরের শেষে দেখেনি চলতি বছর কোন কোন রোগগুলি দাপিয়ে বেড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে গোটা দেশে।

নিউমোনিয়া

চলতি বছর শেষে চিনে বেড়েছে নিউমোনিয়ার প্রকোপ। এই দেশেও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে। যদিও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চিনা নিউমোনিয়ার সঙ্গে এই দেশে নিউমোনিয়ার আক্রান্তদের কোনও যোগ নেই। তবে চিনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ একাধিক দেশে এই রোগ উদ্বেগ তৈরি করেছে।

করোনাভাইরাস

বছরের শেষে মাসে এই দেশে নতুন করে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বর্তমানে দেশে JN.1 উপ-ভেরিয়েন্টের উপদ্রব বাড়ছে। কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ুতে বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ। ইতিমধ্যেই কেরলে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এটি তেমন আতঙ্কের নয়। তবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

হার্ট অ্যাটাক

প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা পুন্নেথ রাজকুমার, বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেলিব্রিটি হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছর এই রোগে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেই আবার সুস্থ হয়ে গেছেন। গোটা বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে হার্ট অ্যাকাটের প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জীবনশৈলি আর খাওয়া দাওয়াকেই দায়ী করেছেন। ভারতীয়দের মধ্যে এই রোগ অতিরিক্ত ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV)

হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) একটি ভাইরাস যা সাধারণত সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। এটি প্রায়শই উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়, তবে কখনও কখনও এর সংক্রমণ নিউমোনিয়া এবং হাঁপানির মতো নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের রোগের কারণ হতে পারে। এইচএমপিভি সংক্রমণ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি দেখা যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন যে এর লক্ষণগুলি করোনার মতোই।

অ্যাডিনো ভাইরাস

অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল এই রাজ্যে। বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কাশি আর শ্বাসকষ্ট হয়। অনেক সময়ই শ্বাসযন্ত্রের ওপর প্রভাব পড়ে।

টমেটো জ্বর

এটি একটি ভাইরাল ফিবার। যা ফ্লুর মতই। মূলত শিশুদের হয়। গোটা শরীরে টমেটোর মত ফুসকুড়ি দেখা দেয়। ত্বকে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। মুখ শুকিয়ে যায় এবং তৃষ্ণা থাকে না। শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে পরিস্থিতি মারাত্মক হয়। হাড়ে ব্যাথা হয়।

এছাড়াও চিকনগুনিয়া, ডেঙ্গু আর ম্যালেরিয়ার মত রোগের প্রাদুর্ভাব চলতি বছর দেখা গেছে।