হরমোন ও পেটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে ভালো খাওয়া দাওয়া ও নিয়মিত প্রাকৃতিক এই জড়িবুটি সেবন, আপনার চুলের ঘনত্ব দারুন বাড়াতে পারে। জানেন কি কী সেই জড়িবুটি? অশ্বগন্ধা, ভীষণ সাধারণ একটা নাম অথচ ম্যাজিকের মতো কাজ।
একটি চুলের জীবনচক্রের তিনটি দশা। প্রথম তিন বছর হল অ্যানাজেন দশা। নতুন চুল বেড়ে ওঠার সময়। এর পরে ২-৪ সপ্তাহের একটা স্বল্পস্থায়ী পর্যায় হল ক্যাটাজেন। এর পরে ৩-৪ মাসের টেলোজেন দশা শেষ করে চুল পড়ে যায়। আবার নতুন চক্রের চুল এসে শূন্যস্থান পূরণ করে। কিন্তু হরমোনের কারণেই হোক বা সংক্রমণ জনিত কারণ, এই প্রক্রিয়ার হেরফের হলেই তখন চুল ঝরতে থাকবে।
হরমোন ও পেটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে ভালো খাওয়া দাওয়া ও নিয়মিত প্রাকৃতিক এই জড়িবুটি সেবন, আপনার চুলের ঘনত্ব দারুন বাড়াতে পারে। জানেন কি কী সেই জড়িবুটি? অশ্বগন্ধা, ভীষণ সাধারণ একটা নাম অথচ ম্যাজিকের মতো কাজ।
অশ্বগন্ধার উপকারিতা :
১. অশ্বগন্ধা স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে উল্কাখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে।
২. অশ্বগন্ধা নির্যাস গ্রহণ করা ব্যক্তিদের ঘুমের কার্যকারিতা, মোট ঘুমের সময় এবং ঘুমের বিলম্বের উন্নতি দেখিয়েছে।
৩. অশ্বগন্ধার নির্যাস গ্রহণের পরে লোকেরা প্রশান্তি, সহনশক্তি এবং মানসিক স্বচ্ছতা বোধ করে।
৪. সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ক্রীড়াবিদদের মধ্যে উন্নত VO2 সর্বোচ্চ সহ অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্সের উপর অশ্বগন্ধার ইতিবাচক পরিণতি হতে পারে।
৫. অশ্বগন্ধার পরিপূরক পুরুষদের মধ্যে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে পারে। যা উন্নত শুক্রাণুর গুণমানের সাথে যুক্ত, ফলে পুরুষদের প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
৬. অশ্বগন্ধা ব্যক্তিদের উপকার করতে পারে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে। এই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য অশ্বগন্ধায় এমন যৌগ রয়েছে যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৭. বর্ধিত জ্ঞানীয় কার্যাবলী: অশ্বগন্ধা গ্রহণ করা মনোযোগ, প্রতিক্রিয়া সময় এবং স্মৃতিশক্তির উপকার করতে পারে।
৮. নিউরোপ্রোটেক্টিভ কার্যকলাপ প্রদর্শন করতে পারে।
৯. অশ্বগন্ধা হাইপোথাইরয়েডিজম আক্রান্ত রোগীদের জন্য সহায়ক হতে পারে।
১০. অশ্বগন্ধার পরিপূরক পেশীর শক্তি বাড়াতে পারে এবং পেশী পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে ব্যায়াম.
কীভাবে খাবেন?
১. ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল : একটি অস্বগন্ধা ক্যাপসুলে প্রায় ২৫০ থেকে ১৫০০ মিলিগ্রাম অশ্বগন্ধা থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত দিসেজ দরকার। তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল দিনে দুবার গরম দুধ বা জলের সাথে খাবারের পরে বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খান।
২. অশ্বগন্ধা পাউডার : দুধ বা মধুর সাথে ১/৪ থেকে ১/২ চা চামচ অশ্বগন্ধা গুঁড়ো মিশিয়ে খান।
৩. অশ্বগন্ধা চা : ২ কাপ জলে এক চা চামচ গুঁড়ো অশ্বগন্ধা মেশান। যতক্ষণ না জল ফুটে অর্ধেক কমে যায় ততক্ষণ সিদ্ধ করুন। স্বাদের জন্য মধু যোগ করতে পারেন, দিনে অন্তত একবার পান করুন।
