সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় বিজ্ঞানী আয়েশা তুলাইল, মালয়েশিয়ান গবেষক মিয়া রনি, অধ্যাপক একেএম মইনুল হক, অমিত দুবে এই তামাক পাতা নিয়ে কাজ করেছিলেন। তাদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানীও কাজ করেছিলেন।
যুগান্তকারী আবিষ্কার ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। ক্যান্সারের কারণ যে তামাক পাতা সেই তামাক পাতাতেই রয়েছে ক্যান্সারের প্রতিকার। বলা যেতে পারে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার উপাদান। একটি রিসার্চ রিপোর্টে তেমনই দাবি করেছে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রসহ দেশের আরও কয়েকজন বিজ্ঞানীদের একটি দল। গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, তারা তামাক পাতায় এক ধরনের যৌগ খুঁজে পেয়েছে যা একাধিক ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।
যদিও এই গবেষণাগুলি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবির বিরুদ্ধে গিয়ে একাধিক আকর্ষণীয় বৈসাদৃশ্য প্রস্তাব করে । কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি বিশ্বে ক্যান্সারে যত মানুষের মৃত্যু হয় তার এক চতুর্থাংশের জন্য দায়ী তামাক। ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক কারণই হল তামাকজাত দ্রব্য।
ভারতীয় বিজ্ঞানী আয়েশা তুলাইল, মালয়েশিয়ান গবেষক মিয়া রনি, অধ্যাপক একেএম মইনুল হক, অমিত দুবে এই তামাক পাতা নিয়ে কাজ করেছিলেন। তাদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানীও কাজ করেছিলেন। ব্রিটেনের টেলর ও ফ্রান্সিস লিমিটেডের প্রকাশনা জার্নাল অব বায়েমোলিকুলার স্ট্রাকচার অ্যান্ড ডায়নামিক্স এই ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
সমীক্ষা অনুসারে 4-[3-Hydroxyanilino]-6,7-Dimethoxyquinazoline নামে ক্যান্সার বিরোধী একটি যৌগ রয়েছে তামাক পাতায়। যা পাতা থেকে বের করে আনা সম্ভব। এতে কোনও লক্ষ্মনীয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অমিত দুবে বলেছেন, ক্যান্সার কোষের বিস্তার বেঁচে থাকা, আনুগত্য, স্থানান্তর ও পার্থক্য এপিডার্মাল গ্রোথ রিসেপ্টর বা EGFRদ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হয়। টিউমার কোষের দেওয়ালে এটি থাকে। সেগুলির বেঁচে থাকা আর বিকাশের জন্য এই প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। গবেষণা দলটি EGFR প্রোটিনকে লক্ষ্য করে ড্রাগ ব্যাঙ্ক যৌগগুলি স্ক্রিন করার জন্য একটি সহযোগী পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। এটি ড্রাগ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সহজতর সরা হয়েছিল। আলবাটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কানাডার আলবার্টাতে মেটাবোলোমিস্ক ইনোভেশন সেন্টার দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা একটি বিস্তৃত বিনামূল্যে অ্যক্সেস অনলাইন ডাটাবে, যেখান থেকে দলটি তাদের গবেষমার জন্য তামাক পাতায় পাওয়া যৌগটি সংগ্রহ করে।