সংক্ষিপ্ত
ত্রিফলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অম্বল হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আরও কী কী উপকার হয় ত্রিফলা ভেজানো জল খেলে?
ত্রিফলার মধ্যে থাকে আমলকি, হরিতকি ও বয়রা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, প্রতিটি ফলের মধ্যেই আলাদা আলাদা আলাদা পুষ্টিগুণ থাকে। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় শরীরের বিবিধ সমস্যার বিরুদ্ধে ত্রিফলা একেবারে ধন্বন্তরি। রোজ সকালে খালি পেটে ত্রিফলা ভেজানো জল খেলে যকৃৎ সুস্থ থাকে। এর ফলে হজম শক্তি ভালো হয়। ত্রিফলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর দ্বারা অম্বল হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মানুষের অ্যালার্জি হওয়ার সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
যদি কারোর মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকে, তাহলে ত্রিফলা ভেজানো জল মুখে নিয়ে বেশ কয়েক মিনিট ধরে ভালো করে কুলকুচি করুন। প্রত্যেকদিন ত্রিফলার গুঁড়ো (Triphala Powder) দিয়ে দাঁত মাজুন। এর দ্বারা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া কমে যাবে, দাঁতের ব্যথা দূর হবে। এর পাশাপাশি দাঁতের হলদে ভাব নির্মূল হবে, দাগছোপ দূর হবে।
ত্রিফলা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলের গঠন সুন্দর করে এবং চুলের গোড়াকে মজবুত করে তোলে। যেহেতু এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপরও কাজ করে, তাই ত্রিফলা চুলকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি চুলকে খাদ্য জোগায় এবং মজবুত করে তোলে। রোজ সকালে ত্রিফলা ভেজানো জল খেলে মেটাবলিজমের হার সঠিক থাকে। ফলে দ্রুত ওজন ঝরানোও সম্ভব হয়। এছাড়াও চোখের সমস্যার জন্যও ত্রিফলা ভেজানো জল খুবই উপকারী। দৃষ্টিশক্তি সঠিক রাখতে সাহায্য করে ত্রিফলা ভেজানো জল।
ত্রিফলা পাউডার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর থাকে। যা ত্বককে নরম, মসৃণ এবং হাইড্রেটেড করে। এটি ত্বকের মধ্যে জলীয় ভাব ধরে রেখে ত্বকের বয়স কম রাখে, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। ত্রিফলা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও দারুণ কার্যকরী। এই আয়ুর্বেদিক ভেষজটি ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো মারণ অসুখের বিরুদ্ধেও শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।