বাইরের প্রচন্ড গরমে কেমন অন্তর্বাস পরা উচিত? ভুল করেও এই কয়েকটি ভুল করবেন না
এই নিবন্ধে, আপনি যখন টাইট অন্তর্বাস পরেন তখন শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।

টাইট অন্তর্বাসের বিপদ: আমাদের মধ্যে অনেকেরই টাইট অন্তর্বাস পরার অভ্যাস আছে। কিন্তু এই অভ্যাস শরীরের জন্য ভালো নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইট অন্তর্বাস না পরে বাতাস চলাচল করে এমন পোশাক পরা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক টাইট অন্তর্বাস পরলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে।
রক্ত সঞ্চালন প্রভাবিত: টাইট অন্তর্বাস পরলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রভাবিত হয়।
যৌনাঙ্গে সংক্রমণ: টাইট অন্তর্বাস পরলে যৌনাঙ্গে মূত্রনালীর সংক্রমণ, ঈস্ট এবং অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
ত্বকের সমস্যা: টাইট অন্তর্বাস পরলে ত্বকে ঘর্ষণ, জ্বালা, লালভাব, চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি হতে পারে।
টাইট ব্রা পরবেন না! মহিলারা টাইট ব্রা পরলে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়, যার কারণে কোষগুলোতে অক্সিজেন এবং পুষ্টি কম পৌঁছায়।
পুরুষদের সমস্যা: পুরুষরা টাইট অন্তর্বাস পরলে শুক্রাণুর উৎপাদন এবং গুণমান প্রভাবিত হয়।
অম্বল: টাইট অন্তর্বাস পরলে পেটের অংশ সংকুচিত হওয়ার কারণে মাঝে মাঝে অম্বল হতে পারে।
রাতে পরবেন না! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে ঘুমানোর সময় সাধারণত অন্তর্বাস পরা উচিত নয়। বিশেষ করে টাইট অন্তর্বাস পরে ঘুমালে ত্বকে জ্বালা ও ঘা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
স্তন ক্যান্সার: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিলারা দীর্ঘক্ষণ ধরে টাইট ব্রা পরলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
১. সবসময় সুতির অন্তর্বাস পরুন। এটি আর্দ্রতা শোষণ করে।
২. আপনার আকারের চেয়ে একটু বড় অন্তর্বাস পরা ভালো।
৩. প্রতিদিন অন্তত একবার অন্তর্বাস পরিবর্তন করা উচিত। অন্যথায়, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি।
৪. বেশিক্ষণ অন্তর্বাস পরা এড়িয়ে চলুন। তেমনি শেপওয়্যার (shape wear) এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
৫. ঘুমানোর সময় কখনই অন্তর্বাস পরবেন না। যদি পরতে চান, তাহলে ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরা ভালো।
নোট: এখন থেকে অন্তর্বাস পরার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন এবং নিজের স্বাস্থ্য রক্ষা করুন।
