রাতে ঘুমের মধ্যে জিভ গলা একেবারে শুকিয়ে তেষ্টার ঘুম ভাঙছে! ভুল করেও আর অবহেলা নয়
রাতে ঘুম ভেঙ্গে জল তেষ্টা পাওয়ার কারণ হতে পারে অনিয়মিত ঘুম, অপর্যাপ্ত জল পান, বা উচ্চ লবণযুক্ত খাবার। এর সমাধানে দিনে পর্যাপ্ত জল পান করুন, চা-কফি পরিমিত খান, এবং মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- FB
- TW
- Linkdin
)
এই সমস্যা অনেকেরই হয়। কিন্তু এই বিষয়টি অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। আপনিও যদি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে এখানে উল্লেখ করা কিছু বিষয়ের প্রতি আপনাকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। কারণ এইগুলি আপনার অনিয়মিত ঘুম এবং রাতে জেগে থাকা এবং দিনে পর্যাপ্ত জল পান না করা এর জন্য অনেকাংশে দায়ী…
আপনি কি জানেন কেন আপনার প্রায়ই এমন সমস্যা হয়? গভীর ঘুম থেকে জেগে উঠলে, রাতে চোখ খুললে খুব বিরক্ত লাগে। কিন্তু ঘুমের মধ্যেই যখন ঘাম এবং খুব জল তেষ্টা পায়, তখন জল পান করার সঙ্গে সঙ্গেই আবারও গভীর ঘুম হওয়া সহজ নয়।
গরমে পানীয় নিতে হলে ঘরে তৈরি সাধারণ পাতিলেবুর সরবত, বা পুদিনাার সরবত, ফলের রস ইত্যাদি পান করুন। সেই সঙ্গে ২-৩ লিটার জল পান করুন। তবেই সুস্থ থাকবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
উচ্চ লবণযুক্ত স্ন্যাকস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এগুলো শুধু শরীরে জলর ঘাটতিই করে না উচ্চ রক্তচাপ রোগও সৃষ্টি করে।
এছাড়া এই সমস্যার সমাধান এর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে। দিনে এক বা দুই কাপের বেশি চা ও কফি পান করবেন না। সোডা, ঠান্ডা পানীয় এবং শরবত ইত্যাদি শুধুমাত্র পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
এছাড়া গরমের সময় শরীর ঠাণ্ডা রাখতে লস্যি, বাটারমিল্ক, লেবুজল এবং নারকেল জল নিন। মশলা সমৃদ্ধ খাবার এবং তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে গ্রীষ্মের সময়।
প্রতিদিনের জীবনে লবন-মশলা দেওয়া খাবার বেশি খান, তাহলেও রাতে একই রকম শুকনো গলা নিয়ে আপনার ঘুম ভেঙ্গে যাবে।
কারণ লবণ ও মশলা দুটোই শরীরে জলর পরিমাণ কমাতে কাজ করে। ফলে রাতের শেষের দিকে শরীরে হাইড্রেশনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং গভীর ঘুমের মধ্যে অতিরিক্ত তেষ্টার কারণে ঘুম ভেঙে যায়।
আপনি যদি দিনের বেলা পর্যাপ্ত পরিমান জল পান করেন, এর সঙ্গে সমান তালে চা এবং কফি খান, বা যদি আপনি সোডা এবং চিনি দিয়ে তৈরি সিরাপ বেশি পান করেন, তবে আপনার শরীর জল পানের তেমন সুবিধাই নিতে পারবে না।
কারণ চিনি, সোডা এবং ক্যাফেইন আপনার শরীরে জলর পরিমাণ কমাতে কাজ করে। কারণ এগুলো খেলে বারবার প্রস্রাব হয়। আপনি যখন ঘন ঘন প্রস্রাব করেন, তখন আপনার শরীরও আর্দ্রতা হারায়।
আসলে, এই সমস্যা হওয়ার কারণ এই পরিস্থিতিতে আপনার শরীর আপনাকে বলছে যে আপনি দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করেননি।
শরীরের চাহিদা অনুযায়ী দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করা উচিত কিনা সেদিকে আপনার নজর দেওয়া উচিত।