সংক্ষিপ্ত

রোগ নিরাময়ের জন্য মধু প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। জেনে নিন শীতকালীন কয়েকটি সমস্যায় মধু কীভাবে কাজে লাগাবেন।

 

একজন সুস্থ মানুষ দিনে দু’চা-চামচ মধু অনায়াসে খেতে পারেন। তবে এর বেশি খেতে চাইলে শর্করা জাতীয় খাদ্য ভাত, রুটি, আলু কমিয়ে খেতে হবে। হজমের সমস্যা, হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস প্রভৃতি রোগে আধ চা-চামচ এর বেশি মধু না খাওয়াই ভাল। পোড়া, ক্ষত ও সংক্রমণের জায়গায় মধু লাগালে দ্রুত সেরে যায়। রোগ নিরাময়ের জন্য মধু প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। জেনে নিন শীতকালীন কয়েকটি সমস্যায় মধু কীভাবে কাজে লাগাবেন।

১) মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ নামক দুই ধরনের সুগার থাকে। অবশ্য সুক্রোজ ও মালটোজও খুব অল্প পরিমাণে আছে।

২) এর শর্করার ঘনত্ব এত বেশি যে, এর মধ্যে কোনও জীবাণু ১ ঘণ্টার বেশি সময় বাঁচতে পারে না। এতে ভিটামিন এ, বি, সি প্রচুর পরিমাণ বিদ্যমান।

৩) মধুতে অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানও আছে। যেমন- এনজাইম বা উৎসেচক, খনিজ পদার্থ যেমন পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ। এছাড়াও প্রোটিন আছে। মধুতে কোনও কোলস্টেরল নেই।

৪) শরীরের বাইরের কোন অংশের ক্ষততে মধুর প্রলেপ লাগালে অনেক সময় মলমের চেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। জলে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলীর ক্ষত এবং আলসারেও উপকার হয়।

৫) মৌরির ভেজানো জলে মধু মিশিয়ে পান করলে দূষিত বায়ু পেট থেকে বেরিয়ে যায়। যারা খুব মোটা হচ্ছেন তাদের মেদ কমানোর জন্য মধুর সঙ্গে হালকা গরম জল মিশিয়ে খেলে সুফল পাওয়া যায়।

৬) দুর্বল শিশুকে এক ফোঁটা মধু দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুবার খাওয়ালে তার স্বাস্থ্য ভালো হয় ও শক্তি লাভ করে। এক কাপ দুধে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে রোজ সকালে খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায়। মধুর সঙ্গে গুড়ের রস মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়।

৭) চায়ের সঙ্গে ১ চামচ মধু ও ১ চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি ও শ্লেষ্মা রেগের উপশম হয়। তুলসী পাতার এক চা চামচ রস ও সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই কাশি দূর হয়। দুই চা চামচের সমপরিমাণ মধু ও বাসকপাতার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি ও কাশি সেরে যায়।

৮) সৈন্ধব লবণ, আমলকী, পিপুল, গোলমরিচ ইত্যাদির সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে এক চা চামচ করে খেলে কফ ও কাশিতে দারুন ভালো কাজ দেয়। ২ চা চামচ মধু ১ গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে সকালে ও সন্ধ্যায় খেলে সর্দি কাশি দূর হয়।

৯) হালকা গরম জলের মধ্যে মধু মিশিয়ে গার্গেল করলে গায়কদের গলার স্বর বৃদ্ধি পায়। এক চা চামচ আদার রস এবং এক চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে ও সন্ধে বেলা খেলে সর্দি সেরে যায় ও খিদে বৃদ্ধি পায়।

১০) ৫০০ গ্রাম আতপ চাল ভেজে গুঁড়া করে এর সঙ্গে ১২৫ গ্রাম ঘি, ২৫০ গ্রাম খাঁটি মধু, ১২৫ গ্রাম চিনি এবং ২০টি সবরি কলা ভালো ভাবে মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে খাবার উপযোগী করে ৩-৪ দিন নিয়মিত খেলে সব ধরনের আমাশয় ভালো হয়ে যায়।