সংক্ষিপ্ত

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ। আধুনিক জীবনযাত্রা হৃদরোগের সমস্যা বাড়াচ্ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। 

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে বাড়তে থাকে হৃদরোগের সমস্যা। গবেষণা বলছে, এই সমস্যায় তরুণরা বেশি খুগছেন। জেনে নিন কেন হয় এমন সমস্যা।

১. ধূমপান: ধূমপান বাড়ায় হৃদরোগের সমস্যা। ধমনীতে প্লাক তৈরি হয় ধূমপানের কারণে। হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় ধূমপানের কারণে।

২. জীবনযাত্রা: ওয়ার্ক ফ্রম হোম এই রোগের আরও এক কারণ। বসে বসে কাজ করার কারণে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব হয়। এতে স্থূলতা, দুর্বল হৃদরোগের স্বাস্থ্য এবং চাপের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

৩. চাপ: মানসিক চাপ  এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যার  কারণে দেখা দেয় এমন রোগ। স্বল্পমেয়াদী চাপ হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা বুক ধড়ফড়, উদ্বেগ এবং মাথাব্যথা সৃষ্টি করে। দীর্ঘস্থায়ী চাপ রক্তনালীগুলির প্রদাহের দিকে পরিচালিত হয়। প্লাকগুলিকে অস্থিতিশীল করে এবং হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি চাপকে হৃদরোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু প্রায়শই উপেক্ষিত ঝুঁকির কারণ করে তোলে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে।

৪. অনিদ্রা: আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এর থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।  সাথে যুক্ত, স্থূলতা এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়।

 এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার জন্য, মেনে চলুন কয়টি টিপস।

  • নেতিবাচক বিষয়বস্তু এড়িয়ে চলুন: ধূমপান এড়িয়ে চলুন। সারাদিন ফোন নিয়ে বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন। 
  • নিয়মিত ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন: যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম এবং দ্রুত হাঁটার মতো কাজ করুন রোজ।
  • সুষম খাদ্য বজায় রাখুন: জাঙ্ক ফুডের চেয়ে পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন।
  • ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন: তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং জেগে ওঠার জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন।
  • সময় ব্যবস্থাপনা: চাপ কমাতে আপনার রোজের সময়সূচী পরিচালনা করুন।
  • ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলুন: বন্ধুদের সাথে মানসম্পন্ন সময় কাটান এবং অন্যদের সাহায্য করুন।