সংক্ষিপ্ত

 আবহাওয়া বদলানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি-কাশির সমস্যা।  ঠান্ডা লাগার  শুরুতেই হয় গলা ব্যথা। তার সঙ্গে গলা ব্যথা লেগেই রয়েছে। এই সময় ঠিকঠাক ব্যবস্থা না নিলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এই ব্যথা সাধারণত টনসিলের কারণেই হয়। আর টনসিলের ব্যথা হলেই আমরা অ্যান্টিবায়োটিকের উপর ভরসা রাখি। কিন্তু জানেন কি অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলেও শরীরের ক্ষতি।

 আবহাওয়া বদলানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি-কাশির সমস্যা।  ঠান্ডা লাগার  শুরুতেই হয় গলা ব্যথা। তার সঙ্গে গলা ব্যথা লেগেই রয়েছে। এই সময় ঠিকঠাক ব্যবস্থা না নিলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। আরএকটু গলা ব্যথা হলেই আমরা একের পর এক ওষুধ খেয়ে থাকি। তার উপর কাফ সিরাপও তো রয়েছে। তবে ওষুধ খাওয়ার আগে একটু ভেবেচিন্তে খান। গলা ব্যথা হলেই ঢোক গিলতে অসুবিধা হয়। এই ব্যথা সাধারণত টনসিলের কারণেই হয়। আর টনসিলের ব্যথা হলেই আমরা অ্যান্টিবায়োটিকের উপর ভরসা রাখি। কিন্তু জানেন কি অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলেও শরীরের ক্ষতি।  ওষুধ ছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে এই টনসিল সারানো যায়। জেনে নিন এর সহজ প্রতিকার।


গলা ব্যাথা শুরু হলে গরম জলে সামান্য নুন দিয়ে কুলকুচি করুন। নুন-জল টনসিলের সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, উষ্ণ গরম জল দিয়ে কুলকুচি করলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কাও অনেক কমে যায়।এক কাপ গরম জলে আধ চামচ চা পাতা, এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। হালকা উষ্ণ অবস্থায় ধীরে ধীরে ওই চা পান করুন। চা-এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমস্ত ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে দেয়। দিনে কয়েকবার এই চা পান করলে অনেকটা আরাম পাবেন।এক কাপ দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে নিন। পারলে ছাগলের দুধ দিয়ে করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধ দিয়েও করতে পারেন। হালকা উষ্ণ অবস্থায় এই দুধ খেলে টনসিলের  সংক্রামণ অনেকটাই কমবে।

 

 

দেড় কাপ জলে কিছুটা পরিমাণ আদা কুচি দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই আদা জল পান করুন। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সংক্রমণে বাঁধা দেয়। এর সঙ্গে গলার ব্যথাও ধীরে ধীরে কমে যায়। গরম জলের মধ্যে লেবু, মধু, নুন দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। যতদিন পর্যন্ত গলা ব্যথা থাকবে ততদিন অবধি এই মিশ্রণটি পান করুন। টনলিলের সমস্যার জন্য এটি খুব কার্যকরী। নুন জলে গার্গল করলে গলায় জমে থাকা মিউকাস ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানকেও সরিয়ে ফেলে নুনজল। এর ফলে গলা পরিষ্কার হয়। প্রতিদিন কয়েকটি করে তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। চায়ের সঙ্গে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খান। এতেও কাশি কমবে।